রাজধানীর পল্টন ও রমনা মডেল থানায় করা পৃথক ৯ মামলার মধ্যে ছয় মামলায় জামিন পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। বাকি তিন মামলার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। এছাড়া পল্টন ও রমনা মডেল থানার পৃথক দুই মামলায় বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপনও জামিন পেয়েছেন।
আজ সোমবার ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন মো. সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এদিন পল্টন থানার পাঁচটি মামলার মধ্যে চারটিতে এবং রমনা থানার চারটি মামলার মধ্যে দুইটিতে জামিনের আদেশ দেন আদালত।
এর আগে একই আদালতে মির্জা আব্বাসের জামিন শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, জয়নুল আবেদীন মেজবাহ, মহি উদ্দিন চৌধুরীসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী।
গত বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) কারাগার থেকে মির্জা আব্বাসকে আদালতে হাজির করা হয়। ওইদিন আসামি পক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত পল্টন থানার পাঁচ মামলায় এবং ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালত রমনা মডেল থানার চার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখান। এর আগে, গত ২৪ জানুয়ারি এসব মামলায় মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার দেখানো ও জামিন শুনানির জন্য আবেদন করেন তার আইনজীবী মহিউদ্দিন চৌধুরী। গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা হয়। এর মধ্যে শাহজাহানপুর থানার নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় ৩১ অক্টোবর রাতে ঢাকার শহীদবাগ থেকে মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে এ মামলায় গত ১ নভেম্বর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে ৫ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।