মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১০ জন গুলিবিদ্ধসহ ৬৬ সদস্য পালিয়ে বান্দরবনে আশ্রয় নিয়েছে। দেশটির বিদ্রোহী দল আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘর্ষের মধ্যে সীমান্ত পেরিয়ে ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রুতে অবস্থিত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ফাঁড়িতে আশ্রয় নেন তারা। তাদের অস্ত্র ও গুলি বিজিবি’র হেফাজতে আছে।
আজ রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সীমান্তের ওপারে চলছে মুহুর্মুহু মর্টার শেল ও গুলিবর্ষণ। এতে সীমান্তে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। তুমব্রু সীমান্তের কাছে দুই গ্রামের প্রায় তিন হাজার বাংলাদেশি অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন।
মিয়ানমার থেকে আসা গুলিতে তিন বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে একজন প্রবীর চন্দ্র ধর (৫৯)। তাৎক্ষণিক অপর দুইজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সকালে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি তুমব্রু সীমান্তে এই ঘটনা ঘটে। এর আগে ভোরে তুমব্রু কোনার পাড়ায় একটি বসতঘরে মর্টারশেল এসে পড়ে।
বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, শনিবার রাত থেকে হঠাৎ গোলাগুলি বেড়ে যায়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপত্তার বিষয়টি চিন্তা করে ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্তের কাছে পাঁচটি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বন্ধ হওয়া বিদ্যালয়গুলো হলো- বাইশফাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাজাবনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুমব্রু পশ্চিমকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।