হজের নিবন্ধনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে তিন দফা। আগামী বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) নিবন্ধনের সময়সীমা শেষ হচ্ছে। এ সময়ের মধ্যে নিবন্ধনকারীর সংখ্যা সৌদি সরকারকে জানিয়ে বাংলাদেশের বাকি কোটা ফেরত দেওয়া হবে। তবে সৌদি আরবের দেওয়া কোটার অর্ধেকও পূরণ হয়নি এখনও।
এবছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের হজে যাওয়ার কোটা রয়েছে। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল পর্যন্ত নিবন্ধন করেছেন ৬৪ হাজার ৪৫ জন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩ হাজার ৯৭৬ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬০ হাজার ৬৯ জন নিবন্ধন করেছেন। সে হিসেবে এখনও কোটা খালি রয়েছে ৬৩ হাজার ১৫৩টি।
গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে এবারের হজ নিবন্ধন শুরু হয়, যা ১০ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা ছিল। প্রত্যাশিত সাড়া না পাওয়ায় প্রথম সময় বাড়ানো হয় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। পরে সময় ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত এবং তৃতীয় দফায় ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
এদিকে আসন্ন হজ মৌসুমে মক্কায় প্রায় ২০ লাখ হাজির থাকার ব্যবস্থার পরিকল্পনা সাজাচ্ছে সৌদি আরব। মক্কা সিটির মেয়র দপ্তর এবার চার হাজার ভবনকে লাইসেন্স দেয়ার পরিকল্পনা করছে। যেগুলোতে ৫ লাখ রুম থাকবে।
আর এসব রুমে থাকবেন ২০ লাখ হাজি। ইতিমধ্যে এক হাজার ভবনকে লাইসেন্স দেয়াও হয়েছে। গত বছর ১৮ লাখ মানুষ পবিত্র হজ পালন করেন। প্রসঙ্গত, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন (১৪৪৫ হিজরি সনের ৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।