এবার বেশ কয়েকদিন ধরে কুয়াশা আর তীব্র শীতে কাঁপলো পুরো দেশ। কুয়াশার চাদর ভেদ করে সূর্য উঁকি দেওয়ায় কিছুটা কমেতে শুরু করেছে শীতের অনুভূতি। তবে দেশের বেশকিছু জেলার উপর দিয়ে এখনও বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ। যা আগামী ২৪ ঘণ্টায় কিছু কিছু জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বর্তমানে গোপালগঞ্জ, নওগাঁ, মৌলভীবাজার ও ফেনী জেলাসহ রংপুর বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, যা কিছু কিছু জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে। পাশাপাশি আজ বুধবার (৩১ জানুয়ারি) খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গা এবং রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের দু’এক জায়গায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
এই সময়ে শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। পাশাপাশি ঘন কুয়াশার কারণে অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন চলাচল অস্থায়ীভাবে ব্যাহত হতে পারে। এই অবস্থায় আজ সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। পাশাপাশি পূবালী লঘুচাপের বর্ধিতাংশ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এছাড়া মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
এই অবস্থায় আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) খুলনা ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু’এক জায়গায় বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তবে দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এছাড়া পরদিন শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাজশাহী, খুলনা, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর বিভাগের দু’এক জায়গায় বৃষ্টি/বজ্রসহ সৃষ্টি হতে পারে।
এ দু’দিন কুয়াশা ও এর প্রভাব আজ বুধবারের মতোই অব্যাহত থাকতে পারে। পাশাপাশি বৃহস্পতিবার সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে। আর পরদিন শুক্রবার সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে।