আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ রিমান্ডে সোনা চোরাচালান সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন বলে দাবি করেছে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ। আর এই তথ্য তাদের বিরুদ্ধে দায়েরককৃত মামলা ও আগামীতে সোনা চোরাচালান রোধে সহায়ক হবে বলে মনে করছে বিভাগ।
এর আগে গত রবিবার সোনা চোরাচালান সংক্রান্ত মানিলন্ডারিং মামলায় আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ, গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদকে এক দিনের রিমান্ডে নেয় শুল্ক গোয়েন্দা।
শুল্ক গোয়েন্দা সূত্র জানায়, আপন জুয়েলাসের্র তিন মালিকের কাছ থেকে তাদের সকল সম্পদের তথ্য নেওয়া হয়েছে। কিভাবে তারা এত সম্পদের মালিক হয়েছেন তারও তথ্য নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তারা কিভাবে সোনা আমদানি বা গ্রাহকদের কাছ থেকে কিনতেন তারও তথ্য নেওয়া হয়েছে। তবে দিলদার আহমেদ সোনা চোরাচালানের দারুণ কিছু তথ্য দিয়েছেন। যা আগামীতে সোনা চোরাচালানকারীদের ধরতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
রবিবার জেলহাজত থেকে তাদের শুল্ক গোয়েন্দার সদর দপ্তরে আনা হয়। সারাদিন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ফরিদ আহমেদ, মো. জাকির হোসেন ও শিপু সরকার। জিজ্ঞাসাবাদে তদন্তকারীরা সোনা চোরাচালান ও মানিলন্ডারিং বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছেন বলে জানা গেছে।
এগুলো তদন্ত ও বিচারিক কাজে সহায়ক হবে।
এর আগে গত ২ নভেম্বর অক্টোবর সিএমএম আদালত শুল্ক গোয়েন্দার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টায় আসামিদের সিএমএম কোর্টে সোপর্দ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৮ ঘণ্টা, ৬ নভেম্বর, ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/পিকে