‘আর কারো মেয়ে কিংবা বোনকে সৌদি আরবে না পাঠানো হয়। সৌদিতে নারী গৃহকর্মীদের উপর অমানসিক নির্যাতন করা হয়। এই দেশটি নারীদের জন্য জাহান্নাম।’
কথাগুলো বলেছেন গুরবক কৌরে নামের এক ভারতীয় নারী। এর কারণ বর্ণনা করতে গিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্থান টাইমসকে তিনি বলেন, ট্রাভেল এজেন্টের প্রতারণায় মালয়েশিয়া না পাঠিয়ে আমাকে পাঠানো হয় সৌদি আরবে। সেখানে ২০ সদস্যের এক পরিবারের গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতে থাকি আমি। সেখানে জাহান্নামের মধ্যে বেঁচে ছিলাম। কারণ তাদের সকল কিছু পরিষ্কার করে আমাকে প্রতিদিন রাত ২টার পর ঘুমাতে যেতে হত। তারা আমাকে খাবারও দিত না। তাদের এঁটো প্লেটে যা পড়ে থাকত আমাকে তাই খেতে হত।
তিনি বলেন, প্রতিদিন ২০ ঘণ্টারও বেশি কাজ করার পরও তারা আমাকে নানাভাবে নির্যাতন করত এবং অনেক সময় লাঠি দিয়ে মারধরও করত।
তিনি দাবি করেন, আমাকে কখনোই বাসার বাইরে যেতে দিত না। তবে আড়াই মাস পরে তারা আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। বৈধ কাজগপত্র না থাকায় ওই সময়ে পুলিশ আমাকে আটক করে।
ভারতীয় এই নারী বলেন, পুলিশ কর্মকর্তারাও খুবই নিষ্ঠুর ছিলেন। আটককৃতদের মধ্যে আমার সঙ্গে আরও আটজন বাংলাদেশি তরুণী ছিলেন যাদের মধ্যে একজনের বয়স ১৫ বছর। পুলিশ আমাদের প্রত্যেককেই পিটিয়েছে। কারও মেয়ে কিংবা বোনকে সৌদি আরবে না পাঠানোর আহ্বান জানিয়ে কৌর বলেন, দেশটি নারীদের জন্য জাহান্নাম।
মুক্তি পাওয়া সম্পর্কে জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, আমি একটি ভিডিও বার্তা পোস্ট করি। এরপর সৌদির একটি পরিবার আমাকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে। তারা আমাকে জামিনে জেল থেকে বের করে এনে তাদের কাছে দুদিনের জন্য রাখে। ভারতীয় দূতাবাস এবং সেখানে থাকা পাঞ্জাবী যুবকের সহায়তায় আমি দেশে ফিরতে পেরেছি।
বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, ০৬ নভেম্বর ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এসএফ