শারীরিক সম্পর্কের জন্য বিয়ের সার্টিফিকেট নেওয়াটা যুক্তিসঙ্গত নয়ঃ প্রিয়তি

মাঝে মাঝে বিতর্কিত মন্তব্য করে আলোচনায় থাকেন তিনি। আর তার বিতর্কিত মন্তব্য মূলত বাঙালি সংস্কৃতিকে নিয়েই। তিনি যেহেতু থাকেন আয়ারল্যান্ডে, সেহেতু আইরিশ সংস্কৃতির সাথে বাঙালি সংস্কৃতিকে তুলনা করে আলোচনায় থাকেন তিনি। বলছিলাম আন্তর্জাতিক মডেল ও অভিনেত্রী মাকসুদা আক্তার প্রিয়তির কথা। প্রতিবারের ন্যায় এবার শারীরিক সম্পর্ক নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। তার কাছে মনে হয়, শারীরিক সম্পর্কের জন্য বিয়ের সার্টিফিকেট নেওয়াটা যুক্তিসঙ্গত নয়।

নারী আর পুরুষের সম্পর্ক প্রসঙ্গে প্রিয়তি বলেন, নারী পুরুষের সম্পর্কের পার্থক্য তো সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ নিজেই করে দিয়েছেন। সৃষ্টিকর্তা কিন্তু বলেই দিয়েছেন যে আমরা একে অপরের সম্পূরক এবং একে অপরকে সম্মান করবো। কে বড় কে ছোট এটা কোনো বিষয় না। নারী যেমন পুরুষ ছাড়া চলতে পারবে না, তেমনি পুরুষও নারী ছাড়া অচল।

শারীরিক সম্পর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, শারীরিক সম্পর্ক নিয়ে পাবলিকলি কথা বলার কিছু আমি দেখি না। কারণ এটা একটা প্রাইভেট ব্যাপার। যে যেভাবে সাচ্ছন্দ্যবোধ করে। কেউ কেউ প্রাইভেসি ফলো করে আবার কেউ কেউ বিষয়টা নিয়ে খোলামেলা কথা বলে। শারীরিক সম্পর্ক তো আসলে একটা শারীরিক চাহিদা। আল্লাহ তো আমাদের শারীরিক চাহিদাগুলো এভাবে ডিজাইন করেছেন। এটা খারাপ কিছু না, যদি দুটি মানুষের ভালোবাসা থাকে। কোনো অসৎ উদ্দেশ্য, কোনো বিনিময় যদি না থাকে। যেমন শুধু শারীরিক সম্পর্ক করার জন্য বিয়ে করে সার্টিফিকেট নেওয়াটা যুক্তিসঙ্গত নয়।

প্রসঙ্গত, ১৯৮৯ সালে ঢাকার ফার্মগেটে জন্ম হলেও প্রিয়তিদের আদি বাড়ি কুমিল্লায়। বাবা আবদুর রশিদ মারা গেছেন প্রিয়তির আট বছর বয়সে। মা মোহছেন আরা মারা যান ২০০৮ সালে। ছয় ভাই দুই বোনের মধ্যে প্রিয়তির অবস্থান সপ্তম। ২০০০ সালে উচ্চশিক্ষার্থে আয়ারল্যান্ড চলে যান তিনি। আয়ারল্যান্ডে গিয়ে মাইক্রোসফট সার্টিফাইড সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা করেন। মডেলিং ও অভিনয় জীবনে প্রিয়তি অর্জন করেছেন অনেক স্বীকৃতি ও পুরস্কার। তার মধ্যে আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে ইন্টারন্যাশনাল রানওয়ে কুইন্স রিকগনেশন অ্যাওয়ার্ডসে পুরস্কৃত হন তিনি।

এছাড়াও তিনি যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে মিস ইউনিভার্সাল রয়্যালটি ২০১৩, আয়ারল্যান্ডে মিজ আয়ারল্যান্ড ২০১৪, মিস হট চকোলেট ২০১৪, মিস ফটোজেনিক ২০১৪, সুপার মডেল অব দ্য ইয়ার ২০১৪, মিস আয়ারল্যান্ড আর্থ ২০১৫ এবং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় মিস আর্থ হিসেবে প্রথম রানার-আপ হওয়ার পর মিস আর্থ ইন্টারন্যাশনাল খেতাব পান ২০১৬ সালে, মিস কমপ্যাশনেট ২০১৬, মিস বেস্ট গাউন ২০১৬, মিস ফিটনেস ২০১৬ হয়েছেন। ব্যক্তি জীবনে ছেলে আবরাজ আর মেয়ে মৌনীরার মা তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, ০৬  নভেম্বর  ২০১৭

লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এস

Scroll to Top