ইয়েমেনে ইরান-সমর্থিত হুতি যোদ্ধাদের ওপর আবারও হামলা চালিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার রাতে পেন্টাগনের কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এটি চলতি সপ্তাহে ইয়েমেনে চতুর্থবারের মতো চালানো মার্কিন হামলা।
ইয়েমেনের বার্তা সংস্থা সাবা আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে জানিয়েছে, আল-হুদাইদাহ, ধামার, আল-বাইদা এবং সা’দা প্রদেশে বিমান হামলা চালানো হয়। এই আগ্রাসনে ব্রিটিশ সামরিক বাহিনীর যুদ্ধবিমানও অংশ নিয়েছে বলে সাবা জানায়।
মার্কিন কেন্দ্রীয় কমান্ড বা সেন্টকম এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইয়েমেন সময় রাত ১১টা ৫৯ মিনিটের সময় এই হামলা চালানো হয়। সেন্টকম দাবি করেছে, ইয়েমেন থেকে হামলার জন্য ১৪টি ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত করা হয়েছিল; এসব ক্ষেপণাস্ত্রের ওপর হামলা চালানো হয়েছে।
সেন্টকম তাদের বিবৃতিতে আরো দাবি করেছে, এসব হামলার পাশাপাশি অন্য যে হামলা হয়েছে তাতে লোহিত সাগরে চলাচলকারী জাহাজগুলোর ওপর ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনীর হামলার সক্ষমতা কমিয়ে দেবে।
হামলা সম্পর্কে দুজন মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মার্কিন নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ এবং একটি সাবমেরিন থেকে ক্রুজ দিয়ে ইয়েমেনের ওপর হামলা চালানো হয়।
গতকাল মার্কিন সরকার ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ আন্দোলনকে নতুন করে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে কালো তালিকাভুক্ত করে। একইদিন ইয়েমেনের ওপর আমেরিকা বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইল বর্বর আগ্রাসন শুরু করলে ইয়েমেনের হুথি আনসারুল্লাহ আন্দোলন সমর্থিত সামরিক বাহিনী লোহিত সাগর ও বাব আল-মান্দেব প্রণালীতে ইসরাইলি জাহাজ এবং ইসরাইল অভিমুখী জাহাজে হামলা শুরু করে। ইসরাইলের বিরুদ্ধে ইয়েমেনের এই রুখে দাঁড়ানোকে আমেরিকা ভালো চোখে দেখছে না। এজন্য তারা লোহিত সাগরে জাহাজ চলাচলের নিরাপত্তার অজুহাত তুলে ইয়েমেনের ওপর হামলা চালাচ্ছে। তবে ইয়েমেনের সামরিক বাহিনীও আমেরিকার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি দিয়েছে এবং এরই মধ্যে আমেরিকার কয়েকটি জাহাজে হামলা করেছে।