নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে পদ্মায় ডুবে যাওয়া ফেরি উদ্ধার অভিযান চালাতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ-বিআইডব্লিউটিএ’র উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় আরিচা ঘাট থেকে রওনা দিয়েছে। হামজা দিয়ে ফেরিতে থাকা ডুবে যাওয়া ট্রাকগুলো উদ্ধারের চেষ্টা করা হবে। আর প্রত্যয় দিয়ে ফেরিটি উদ্ধার কাজ শুরু হবে।
আজ বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘ঘন কুয়াশা ও আবহাওয়ার খবর জানার পরেও ফেরিগুলো ঘাট ছেড়ে এসে মাঝ নদীতে নোঙর থাকাটা ঠিক নয়। আবহাওয়া দেখে ফেরি ঘাটেই থাকা উচিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘ফেরি উদ্ধারের জন্য উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম ও প্রত্যয় রওনা দিয়েছে। হতাহতের খবর এখনও পর্যন্ত আসেনি। তবে একজন নিখোঁজ আছেন, যিনি ছিলেন ফেরিটির দ্বিতীয় মাস্টার। সার্বক্ষণিক খবর রাখা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে সচিব, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান ও জেলা প্রশাসক উদ্ধার অভিযান তদারকি করছেন।’
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাল্কহেড নদীতে একটি বিপদজনক যানবাহনে পরিণত হয়েছে। তবে অনেক ক্ষেত্রে পণ্য পরিবহনে এসব যানবাহনের প্রয়োজনও আছে। তবে এগুলোকে আরও আধুনিকায়ন করা যায় কিনা, সে নিয়ে চিন্তা করা হচ্ছে।’
এর আগে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে পদ্মায় ডুবে যাওয়া ফেরি উদ্ধারে অভিযান চালাতে বিআইডব্লিউটিএ’র উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা ও রুস্তম যাত্রা শুরু করে।
বিআইডব্লিউটিএ সূত্র জানায়, উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা দৌলতদিয়া ঘাট হতে রওনা দিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। একই সঙ্গে মাওয়া ঘাট হতে রুস্তমও যাত্রা শুরু করেছে।
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ঘন কুয়াশায় নোঙর থাকা অবস্থায় ‘রজনীগন্ধা’ নামের ফেরিটিতে একটি বাল্কহেড ধাক্কা দেয়। এতে ধীরে ধীরে ফেরিটি পদ্মা নদীতে ডুবে যায়। ওই সময় ফেরিতে নয়টি যানবাহন ছিল। এ ঘটনায় ১০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দিবাগত রাত একটার দিকে দৌলতদিয়া থেকে ছেড়ে আসা ফেরি ‘রজনীগন্ধা’ ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ঘাটের কাছে আটকে পড়ে নদীতে নোঙর করা হয়। বুধবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে একটি বাল্কহেড ফেরিটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এরপর ফেরিটি ডুবে যেতে থাকে।