মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ মুইজ্জু বলেছেন, আমাদের দেশ ছোট হতে পারে, তবে ‘আমাদের ধমক দেয়ার লাইসেন্স কারও নেই’। গতকাল শনিবার (১৩ জানুয়ারি) চীনে পাঁচদিনের উচ্চপর্যায়ের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে দেশে ফিরেই এমন মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় নাম উল্লেখ না করে ভারতের কড়া সমালোচনা করেন তিনি।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লাক্ষাদ্বীপ সফরের ছবি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মালদ্বীপের তিন মন্ত্রী বিতর্কিত পোস্ট করেন। সেটি ঘিরে দুই দেশের মধ্যে শুরু হয় ক্রমবর্ধমান কূটনৈতিক বিবাদ। বহু ভারতীয় মালদ্বীপে ভ্রমণ করা বাতিল করছেন। এসব ঘটনার মধ্যেই মুইজ্জু এমন মন্তব্য করলেন।
২০২৩ সালের নভেম্বরে ক্ষমতায় আসার পর ভারতবিরোধী বিভিন্ন বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় আসেন মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি। গত সপ্তাহেই মুইজ্জু রাষ্ট্রীয় সফরে চীনে যান। এই সফর শেষে দেশে ফিরে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমাদের এই মহাসাগরে বেশকিছু ছোট ছোট দ্বীপ রয়েছে। আমাদের ৯ লাখ বর্গ কিলোমিটারের একটি বিশাল একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল আছে। এই মহাসাগরের সবচেয়ে বড় অংশের দেশগুলোর মধ্যে মালদ্বীপ অন্যতম।’
এ সময় ভারতকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘এই মহাসাগরটি একটি নির্দিষ্ট দেশের নয়। এই (ভারত) মহাসাগরটিও এখানে অবস্থিত সব দেশের অন্তর্ভুক্ত।’ মুইজ্জু বলেন, ‘আমরা কারও বাড়ির উঠানে নেই। আমরা একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র।’ চীনে পাঁচদিনের ওই সফরে গিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন মুইজ্জু। পরে দুই দেশের মধ্যে অন্তত ২০টি দ্বিপাক্ষিক চুক্তিও স্বাক্ষর করেন তারা।
এদিকে, চীনের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘উভয়পক্ষ তাদের নিজ নিজ প্রধান স্বার্থ রক্ষায় পরস্পরকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন অব্যাহত রাখার বিষয়ে একমত হয়েছে।’
কোনো দেশের নাম উল্লেখ না করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘মালদ্বীপের জাতীয় সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা এবং জাতীয় মর্যাদা সমুন্নত রাখার ওপর চীনের দৃঢ় সমর্থন রয়েছে। মালদ্বীপের জাতীয় পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ উন্নয়নের পথ অন্বেষণে চীনের শ্রদ্ধা এবং সমর্থন রয়েছে। একইসঙ্গে মালদ্বীপের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বহিরাগত হস্তক্ষেপের দৃঢ় বিরোধিতা করে বেইজিং।’