বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট জেএন.১-এর সংক্রমণ বাড়ছে। নতুন করে করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে দেশেও। এ অবস্থায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সমন্বিত নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র। এতে বলা হয়, বিশ্বের বেশ কিছু দেশে কোভিড-১৯-এর নতুন ভ্যারিয়েন্ট জেএন.১-এর সংক্রমণ বেড়েছে। এ অবস্থায় উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে যেমন হাসপাতাল, চিকিৎসাকেন্দ্র এবং উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি, যাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম, তাদের সতর্কতা হিসেবে মাস্ক ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হলো।
এতে আরও বলা হয়, উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণতে থাকা ব্যক্তিদের চতুর্থ ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। সার্জারি অথবা অন্য কোনো রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে কেবল কোভিড-১৯ লক্ষণ বা উপসর্গ থাকলে কেভিড-১৯ পরীক্ষা করার পরামর্শ দেয় অধিদপ্তর।
গত ৪ জানুয়ারি করোনাবিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে এসব পরামর্শের সুপারিশ করা হয়। করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় কারও মৃত্যু হয়নি। একই সময়ে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩৬ জনের।
প্রসঙ্গত, দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে ২০২০ সালের ৮ মার্চ। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে করোনায় প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় কারও মৃত্যু হয়নি। একই সময়ে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩৬ জনের।
আজ শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, করোনায় এ পর্যন্ত মারা গেছেন ২৯ হাজার ৪৭৭ জন। আর মোট শনাক্ত হয়েছে ২০ লাখ ৪৬ হাজার ৫৭৮ জনের।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ১৩টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৯ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১১ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৪ হাজার ৩৪ জন। দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে ২০২০ সালের ৮ মার্চ। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে করোনায় প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।