দেশের বিভিন্ন জায়গায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যা আরও দীর্ঘস্থায়ী হয়ে শীত বাড়তে পরে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
আজ শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টায় দেয়া আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়। বলা হয়, আজ সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও দিনে ঠান্ডাভাব বিরাজমান থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আজ সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। তবে, দেশের কোথাও কোথাও দিনে ঠান্ডাভাব বিরাজমান থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে আজ মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগে সাময়িকভাবে বিঘ্ন ঘটতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বাড়তি অংশ পশ্চিমবঙ্গ ও এর কাছাকাছি বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় ও নিকলীতে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ২৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ঢাকায় আজ উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে। সকালে ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮৬ শতাংশ।
আগামীকালের পূর্বাভাসে বলা হয়, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগে সাময়িকভাবে বিঘ্ন ঘটতে পারে।