দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ কংগ্রেস থেকে ডাব প্রতীক নিয়ে অংশগ্রহণ করেছেন আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনসহ আরও ৩ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীর সঙ্গে লড়ছেন হিরো আলম। নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী বলে জানান তিনি।
হিরো আলম বলেন, আমার এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে বুঝেছি, এবার আমার জয় কেউ ঠেকাতে পারবে না। জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ নিশ্চিত। এখন শুধু অপেক্ষার পালা। তবে আশা রাখছি, আমার পক্ষেই ভোট দেবেন সবাই।
তিনি আরও জানান, ভোটগ্রহণের সময় অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনা না ঘটলে অবশ্যই জয়ী হবেন তিনি। গত নির্বাচনে খুব অল্পের জন্য জয়ী হতে পারেননি এই সোশ্যাল তারকা। তবে এবার তার জয় নিশ্চিত বলেই জানান তিনি।
হিরো আলমের ভাষ্যমতে, এবারের ভোটগ্রহণ খুব সুষ্ঠুভাবেই সম্পন্ন হবে, তেমনটাই আশা রাখছেন তিনি। এ ছাড়া সব কেন্দ্রেই তার এজেন্ট রয়েছে বলে জানা গেছে। অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে তার পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ শুরু হবে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে গিয়েও পরিস্থিতি দেখবেন হিরো আলম।
এর আগে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলে হিরো আলম। তবে ৮৩৪ ভোটে হেরে যান এই কন্টেন্ট ক্রিয়েটর। ওই নির্বাচনে জয়ী হন আওয়ামী লীগ প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন।
ইসির দেওয়া তথ্যমতে, নির্বাচন ঘিরে সারাদেশে পাঁচ লাখ ১৬ হাজার আনসার, এক লাখ ৮২ হাজার ৯১ পুলিশ, ৪৬ হাজার ৮৭৬ বিজিবি, দুই হাজার ৩৫০ কোস্টগার্ড এবং ৭০০ এর বেশি র্যাব টহলে থাকবে। তাদের সঙ্গে ভোটের মাঠে থাকবে সশস্ত্র বাহিনী। এ ছাড়া আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরাও মাঠে থাকবে। প্রতিকেন্দ্রে থাকবেন ১৫ থেকে ১৭ জন নিরাপত্তা সদস্য।
এবার নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৭ লাখ। এর মধ্যে ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন পুরুষ, ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন নারী এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা ৮৫২। মোট ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ১০৩টি। ভোটকক্ষ ২ লাখ ৬১ হাজার ৯১২টি। ভোট হচ্ছে ব্যালট পেপারে।
এবারের নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ভোট হবে ২৯৯ আসনে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নওগাঁ-২ আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। নির্বাচনে ২৮টি দল অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে দলীয় প্রার্থী ১ হাজার ৫৩৪ জন এবং স্বতন্ত্র ৪৩৬ জন। নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ২৬৬ জন প্রার্থী দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬৫ জন প্রার্থী দিয়েছে জাতীয় পার্টি এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৩৫ জন প্রার্থী রয়েছেন ‘সোনালী আঁশ’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে আসা তৃণমূল বিএনপি।
এদিকে বিএনপিসহ ৬০টি দল নির্বাচন বর্জন করেছে। দলটি সরকার পতনের এক দফা দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করে সফলতা না পেয়ে নির্বাচনের দুই মাস আগ থেকে হরতাল-অবোরধের পথ বেছে নেয়। এতে সরকারকে চাপে ফেলতে না পেরে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে গত ২০ ডিসেম্বর ‘অসহযোগ আন্দোলনের’ ডাক দেয় দলটি। পাশাপাশি সরকারকে সকল প্রকার কর, খাজনা, পানি, গ্যাস এবং বিদ্যুৎ বিল দেওয়া স্থগিত রাখার অনুরোধ জানায় দলটি।