ভোট প্রদান বা নেতা নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যিনি নেতা হবেন তিনি একটি জাতি বা সমাজকে পরিচালিত করবেন। তাই নেতা যদি ভালো ও সৎ হন তাহলে তিনি তার সমাজ ও অধীস্থদের সঠিকভাবে পরিচালনা করবেন। সমাজ সুখ শান্তি বিরাজ করবে। আর নেতা সৎ না হলে সমাজে বিরাজ করবে অশান্তি।
বর্তমান সময়ে সমাজপতি বা দলপ্রধান যেহেতু জনগণের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে থাকেন তাই জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের আগে সবাইকে সচেতন হতে হবে। কারণ অযোগ্য কাউকে নির্বাচিত করলে তার মাধ্যমে সমাজে যত অরাজকতা সৃষ্টি হবে এর কারণে আল্লাহর দরবারে জবাবদিহিতা করতে হবে ভোটার বা দলপ্রধান নির্বাচনকারীকে।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘যে লোক সৎকাজের জন্য কোনো সাক্ষ্য দেবে, তা থেকে সেও একটি অংশ পাবে। আর যে লোক মন্দ কাজের জন্য সুপারিশ করবে, সে তার পাপের একটি অংশ পাবে।’ (সূরা নিসা, আয়াত, ৮৫)।
এই আয়াতে সুপারিশকে ভাল ও মন্দ দু’ভাগে বিভক্ত করে বলা হয়েছে, প্রত্যেক সুপারিশ যেমন মন্দ নয়, তেমনি প্রত্যেক সুপারিশ ভালোও নয়। আরও বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি ভালো সুপারিশ (নির্বাচন) করবে, সে সওয়াবের অংশ পাবে এবং যে ব্যক্তি মন্দ সুপারিশ করবে, সে আজাবের অংশ পাবে। সুতরাং যে ব্যক্তি কারো বৈধ অধিকার ও বৈধ কাজের জন্য বৈধ পন্থায় সুপারিশ করবে, সেও সওয়াবের অংশ পাবে।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোন সৎকাজে অপরকে উদ্বুদ্ধ করে, সেও ততটুকু সওয়াব পায়, যতটুকু সৎকর্মী পায়।’ (মুসলিম, হাদিস, ১৮৯৩)
কোরআনুল কারিমে আরও ইরশাদ হয়েছ, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা ন্যায়ের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকো এবং ন্যায়সঙ্গত সাক্ষ্যদান করো, তাতে তোমাদের নিজের কিংবা পিতা-মাতার অথবা নিকটবর্তী আত্মীয়-স্বজনের যদি ক্ষতি হয় তদাপিও।’ (সূরা নিসা, আয়াত, ১৩৫)।