শীতকালে অ্যালার্জির সমস্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। কেননা, এ সময় ঠান্ডা আবহাওয়া থেকে রুক্ষ ও শুস্ক পরিবেশে কোল্ড ও ডাস্ট অ্যালার্জি সংক্রমণ ব্যাপক বেড়ে যায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোল্ড অ্যালার্জি থাকা ব্যক্তিদের হাঁচি-কাশি বেশ স্পষ্ট হয়ে উঠে। এ সময় নাক দিয়ে পানি পড়া এবং জ্বর হওয়ার সঙ্গে শরীরের বিভিন্ন স্থানে র্যাশও হয়ে থাকে। স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়েব এমডি অ্যালার্জির সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় জানিয়েছে। এ বিষয়ে জেনে নেয়া যাক।
প্রতিরোধ: অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে আপনি ঘরোয়া উপায়ে প্রতিরোধ করতে পারবেন। এ জন্য বাসা-বাড়িতে জানালা ও দরজায় পর্দা ব্যবহার করতে পারবেন। পর্দা বাইরের অনাকাঙ্ক্ষিত ধুলাবালি ভেতরে প্রবেশ করবে না। ফ্লোরে কার্পেট বিছিয়ে রাখতে পারেন। এসব ব্লিচিং বা ডিটারজেন্টযুক্ত দ্রবণ দিয়ে পরিষ্কার করতে পারেন। ধুলাবালি নিয়ন্ত্রণে বাড়িতে আর্দ্রতা ৫০ শতাংশের নিচে রাখার জন্য একটি ডিহিউমিডিফায়ার ব্যবহার করুন।
বাসা-বাড়িতে বাতাস থেকে ধুলা পরিষ্কারের জন্য HEPA এয়ার ফিল্টারের সহায়তা নিতে পারেন। বিছানার কাপড় সপ্তাহে একবার ১৩০ ফারেন হাইট তাপমাত্রায় ধুয়ে ফেলতে পারেন। প্রয়োজনে বিছানার বালিশ, কম্বলে অ্যালার্জি প্রুফ চাদর ব্যবহার করতে পারেন। পোষা প্রাণির পশমের মধ্যে অ্যালার্জি থাকতে পারে। এ জন্য পোষা প্রাণি সম্ভব হলে এড়িয়ে চলুন। তাদের কখনোই আপনার বেডরুম পর্যন্ত আনবেন না।
চিকিৎসা: শীতে যাদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে তারা অ্যান্টিহিস্টামাইন ওষুধ নিতে পারেন। এটি হাঁচি ও চুলকানি কমায়। ফোলা উপশম ও চুলকানি কমাতে নিতে পারেন ডিকনজেস্ট্যান্ট। এটি আপনার শ্লেষ্মাও পরিষ্কার করবে। এছাড়া অ্যালার্জির লক্ষণগুলো নিয়ন্ত্রণে ইমিউনোথেরাপি নিতে পারেন। এটি এক প্রকার ট্যাবলেট, যা জিহ্বার নিচে রাখতে হয়। এই পদ্ধতিতে দীর্ঘক্ষণ অ্যালার্জির লক্ষণ নিয়ন্ত্রণে থাকে।