দলীয়ভাবে অসহযোগীতা আর সমন্বয়হীনতার অভিযোগে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন। তিনি জাতীয় পার্টির চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি। একই সঙ্গে আর রাজনীতি আর করব না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
গত সোমবার (১ জানুয়ারি) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের শান্তিপাড়ার নিজবাড়ি থেকে ঘোষণা দেন তিনি।
এ বিষয়ে আগামী বুধবার (৩ জানুয়ারি) সংবাদ সম্মেলন করবেন তিনি। অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। একই সঙ্গে স্থানীয় একটি পত্রিকায় এ সংক্রান্ত বিবৃতি দিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, গত বুধবার থেকে আমি নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা থেকে বিরত আছি। কারণ হিসেবে তিনি জানান, প্রথমত আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের টাকার পাল্লার কাছে নির্বাচন করার মতো আমার অবস্থা নেই। দ্বিতীয়ত আমার দলের প্রেসিডেন্ট অর্থাৎ চেয়ারম্যান এবং মহাসচিব তাদের সিদ্ধান্তহীনতা এবং কমিউনিকেশন গ্যাপ। তাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নাই। ফোন দিলেও রিসিভ করেন না। কেন্দ্রে যারা আছেন তারা কেউ সহযোগিতা করেন না। সারা বাংলাদেশে জাতীয় পার্টির ২৮৩ জনের মধ্যে সরকারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে ২৬ জনকে উনারা বের (আসন) করে দিয়েছেন। আমাদেরকে সব দিক থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই ২৬ জনের কাছ থেকে জিএম কাদেরসহ অনেকে মোটা অংকের টাকা নিয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে। মাঠে এখনও যারা আছে তারা কেউ কেউ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে। ৭ তারিখের আগ পর্যন্ত অনেকেই হয়তো ছেড়ে দিতে পারেন। এই কারণে আমার মতো মানুষের নির্বাচন না। ভদ্র মানুষের নির্বাচন না। নির্বাচন হচ্ছে অর্থ আর পেশির।
উল্লেখ্য, চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে (সদরের একাংশ-আলমডাঙ্গা) ছয়জন প্রার্থী লড়ছেন। তারা হলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন, ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী দলের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ও ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা, ফ্রিজ প্রতীকের কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ও মিনিস্টার গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ রাজ্জাক খান, লাঙ্গল প্রতীকের মনোনীত প্রার্থী ও জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সোহরাব হোসেন, আম প্রতীকের মনোনীত প্রার্থী ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) কেন্দ্রীয় মহাসচিব ইদ্রিস চৌধুরী ও ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী শহীদুর রহমান। এরমধ্যে লাঙ্গল প্রতীকের মনোনীত প্রার্থী ও জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সোহরাব হোসেন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।