ময়েশ্চারাইজার
ত্বক ফাটার অন্যতম কারণ শুষ্কতা। এখন ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা জরুরি।
ঠোঁটের যত্ন
ঠোঁটের ত্বক অনেক বেশি সংবেদনশীল ও স্পর্শকাতর। শীতের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়ে ঠোঁটে। বাইরে বের হওয়ার আগে ঠোঁটে পেট্রোলিয়াম জাতীয় লিপবাম লাগিয়ে নিতে পারেন। অয়েল বেসড লিপস্টিকও ব্যবহার করতে পারেন।
হাত ও পা
মুখের ত্বক নিয়ে মানুষ যতটা সচেতন ততটা হাত-পায়ের ত্বকের বেলায় হতে দেখা যায় না। অথচ ঠোঁটের পর হাত ও পায়ের ত্বকই শীতে সবচেয়ে রুক্ষ হয়ে পড়ে। পায়ের গোড়ালিতে ফাটলও ধরে অনেকের। প্রতিবার হাত ও পা ধোয়ার পর গ্লিসারিন, পেট্রোলিয়াম জেলি বা ময়েশ্চারাইজার ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। হাত-পা যখনই রুক্ষ মনে হবে তখনই লোশন লাগাতে হবে। পার্লারে গিয়ে ম্যানিকিউর-পেডিকিউরও করে আসতে পারেন। বাইরে থেকে বাড়ি ফিরেই হাত ও পা সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলার অভ্যাস করতে হবে।
সানস্ক্রিন
অনেকের ধারণা রোদ না উঠলে শীতের দিনে বা মেঘলা দিনে সানস্ক্রিন ব্যবহারের দরকার নেই। ধারণাটি ভুল। গ্রীষ্ম, বর্ষা বা শীত সব সময়ই সূর্যরশ্মি ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। শীতেও ত্বকের সুরক্ষায় সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। বাইরে বেরোনোর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে মুখে, হাতে এবং সূর্যের আলো সরাসরি এসে পড়ে শরীরের এমন স্থানে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে।
পানি পান
শীতে পানি থেকে দূরে থাকতে চান অনেকে। শীতে সাধারণত পিপাসাও কম লাগে। এ জন্য পানি কম পান করা হয়। এতে ত্বক আরো বেশি রুক্ষ হয়ে ওঠে। আর্দ্র ত্বকের জন্য তো বটেই, শরীর সুস্থ রাখার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা জরুরি। শরীরে পানির অভাব হলে ত্বকে এর বিরূপ প্রভাব পড়ে। সকালে ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস উষ্ণ লেবুপানি পান করতে পারেন। এ ছাড়া বিভিন্ন ফলের রস, ডাবের পানি পান করতে পারেন। যাঁদের অ্যালার্জিজনিত সমস্যা আছে তাঁরা সুতি অথবা ফ্লানেল কাপড়ের জামা পরে তার ওপর উলের কাপড় পরতে পারেন। শীতে প্রতিদিন কিছুক্ষণ রোদে থাকা দরকার। এতে শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ‘ডি’ পাবে। ভিটামিন ‘ডি’ ত্বককে সুন্দর ও মসৃণ করে এবং বার্ধক্য রোধ করে।