দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের (প্রার্থিতা বৈধ বা বাতিল) বিরুদ্ধে করা আপিলের ওপর দ্বিতীয় দিনের মতো শুনানি করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ সোমবার সকাল ১০টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এই শুনানি শুরু হয়। আজকের শুনানিতে প্রথম ১০ জনের মধ্যে ৫ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। দুজনের প্রার্থিতা বাতিলই থাকছে। বাকি তিনজনের প্রার্থিতার বিষয়ে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি ইসি।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আইন শাখার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রাম-১০ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরিদ মাহমুদ, ঢাকা-১৪ আসনের তৃণমূল বিএনপি মো. নাজমুল ইসলাম, ময়মনসিংহ-১১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ, কুষ্টিয়া-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রউফ, মুন্সিগঞ্জ-২ আসনের সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের নূরে আলম সিদ্দিক, রংপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র মোছা. সুমনা আক্তার, ঢাকা-৫ আসনের সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের নুরুল আমিন, বাগেরহাট-২ আসনে জাতীয় পার্টির হাজরা সহীদুল ইসলাম, গাইবান্ধা-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোছা. মাছুমা আখতার প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।
এছাড়া কুমিল্লা-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আবদুল মজিদ, ঢাকা-১৯ আসনের বিএসপির মো. জুলহাস, ঢাকা-১২ আসনের বিএনএফের মো. আতিকুর রহমান নাজিম, রাজবাড়ী-২ আসনে তৃণমূল বিএনপির এসএম ফজলুল হক, নোয়াখালী-১ আসনে স্বতন্ত্রী প্রার্থী খন্দকার আর আমিন, বাগেরহাট-২ আসনে তৃণমূল বিএনপি মরিয়ম সুলতানা, জামালপুর-৪ আসনে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের তারিক মাহদী, ঢাকা-৬ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারহানা সাঈদ, বাগেরহাট-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম আজমল ও বাগেরহাট-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. জামিল হোসেনও প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।
এছাড়া শুনানিতে ২০টি আপিল আবেদন নামঞ্জুর করেছে ইসি। পাঁচটি আপিল আবেদনের রায় ঝুলে আছে। রোববার (১০ ডিসেম্বর) প্রথম দিনে ৫৬ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। আবেদন নামঞ্জুর হয়েছে ৩২টি, পেন্ডিং ছিল ছয়টি আবেদন।