আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩৩টি আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতা গড়ে তোলার মতো শক্তিশালী প্রার্থী নেই। মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও প্রভাবশালী দলীয় নেতার এসব আসনে দলীয় অন্য কোনো নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেও নির্বাচনে অংশ নেননি। ফলে শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় এ ৩৩টি আসনে আওয়ামী লীগের বিজয় নিশ্চিত বলে মনে হচ্ছে। নৌকার প্রার্থীরাও সময় পার করছেন চিন্তামুক্তভাবে।
চিন্তামুক্ত থাকার ভাগ্যবানদের এ তালিকায় আছেন- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের (নোয়াখালী-৫), আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা আমির হোসেন আমু (ঝালকাঠি-২) ও আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ (বরিশাল-১), আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ (চট্টগ্রাম-৭), কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আবদুর রাজ্জাক (টাঙ্গাইল-১), আইনমন্ত্রী আনিসুল হক (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪), স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম (কুমিল্লা-৯), অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল (কুমিল্লা-১০), প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই শেখ হেলাল উদ্দিন (বাগেরহাট-১), স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক (মানিকগঞ্জ-৩), ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী (চট্টগ্রাম-১৩), রেলমন্ত্রী মো নুরুল ইসলাম সুজন (পঞ্চগড়-২), জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী লিটন (মাদারীপুর-১), শাজাহান খান (মাদারীপুর-২), আবদুস সালাম (ময়মনসিংহ-৯), শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার (ঢাকা ১৫), শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল (চট্টগ্রাম-৯), আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আফজাল হোসেন (পটুয়াখালী-১), সালমান ফজলুর রহমান (ঢাকা-১), সাবের হোসেন চৌধুরী (ঢাকা-৯), ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান (মাগুরা-১), সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের ছেলে ও বর্তমান সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক (কিশোরগঞ্জ-৪), বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন (কিশোরগঞ্জ-৬), আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা আবদুর রাজ্জাকের ছেলে নাহিম রাজ্জাক (শরীয়তপুর-৩), আশেক উল্লাহ রফিক (কক্সবাজার-২), আলী আজম (ভোলা-২), মো. মজিবর রহমান (বগুড়া-৫), মোছা. জান্নাত আরা হেনরী (সিরাজগঞ্জ-২), তানভীর শাকিল জয় (সিরাজগঞ্জ-১), গোলাম ফারুক খন্দকার (পাবনা-৫), ইমরান আহমেদ (সিলেট-৪)। সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সিলেট-৬ আসনটিতে কোনো আওয়ামী লীগ নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী না থাকলেও এখানে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আছেন হেভিওয়েট তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরী। একইভাবে আওয়ামী লীগের কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নেই টাঙ্গাইল-৮ আসনেও। আসনটিতে নৌকার মাঝি অনুপম শাহজাহান জয়। আসনটিতে তার বিপরীতে লড়বেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।
উপরের ৩৩টি আসন ছাড়া আরো ১টি আসনে আওয়ামী লীগের কোনো নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম জমা দেননি। এটি হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ-৫। এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির সেলিম ওসমান। সেলিম ওসমান নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের ভাই। আওয়ামী লীগ নারায়ণগঞ্জ-৪ ও কুষ্টিয়া-২ আসন ফাঁকা রেখে বাকি ২৯৮টি আসনে দলীয় মনোনয়ন ঘোষণা করেছে।
১৯৫০ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ প্রস্তাবনা ৩৭৭ গ্রহণ করে। নিরাপত্তা পরিষদ যখন কিছু করতে পারে না তখন সাধারণ পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা দেয়ার লক্ষ্যে প্রস্তাবনাটি গৃহীত হয়। এই প্রস্তাবনার মূল লক্ষ্য হচ্ছে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখা।