আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ রোববার (১০ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশন আপিল শুনানিতে তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। এ বিষয়ে হিরো আলম বলেন, প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছি, নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় হিরো আলম বলেন, \’বগুড়া-৪ আসন থেকে ডাব প্রতীকে দল থেকে (বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টি) আমি এবার নির্বাচন করছি। আমি আগেই একটি কথা বলেছিলাম, এবার আমরা নির্বাচন অফিস থেকেই প্রার্থিতা ফেরত পাব। আমার ছোট কয়েকটি ভুল ছিল। এগুলো বগুড়াতেই সংশোধন করে দেওয়া সম্ভব ছিল। কিন্তু কিছু লোকের ষড়যন্ত্রের কারণে তা সম্ভব হয়নি। আমার বিশ্বাস ছিল, এখান থেকে প্রার্থিতা ফেরত পাব এবং সেটি সত্য হয়েছে।\’
এর আগে রোববার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর সোয়া ২টার পর আপিল শুনানিতে অংশ নিতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) যান আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম।
তখন তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, \’দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি বগুড়া-৪ আসন থেকে প্রার্থী হয়েছি। কিন্তু একটি কাগজে স্বাক্ষর ছিল না। সেজন্য জেলা রিটার্নিং অফিসার মনোনয়ন বাতিল করেছিল। আমি আপিল করেছি। আজ আইনজীবীসহ আপিল শুনানিতে অংশ নিতে এখানে এসেছি।
শুনানি শেষে জানতে পারবেন মনোনয়ন ফেরত পাচ্ছি কি না। আমি আশাবাদী মনোনয়ন ফিরে পাব।\’ মনোনয়নপত্রের বৈধতা ফিরে পেতে গত ৬ ডিসেম্বর আপিল আবেদন করেন হিরো আলম।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসন থেকে হিরো আলম মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন। তবে, যথাযথভাবে মনোনয়নপত্র পূরণ না করায় জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বগুড়ার জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম তার প্রার্থিতা বাতিলের ঘোষণা দেন।
মনোনয়নপত্র বাতিল প্রসঙ্গে সেই সময় হিরো আলম উপস্থিত সাংবাদিকদের তাৎক্ষণিক বলেছিলেন, \’প্রতি বছরই বাতিল হয়। এটা কোনো বিষয় নয়।\’
উল্লেখ্য, চলতি বছরের জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে অংশ নেন হিরো আলম। এ ছাড়া, তিনি ফেব্রুয়ারি মাসে বগুড়া-৬ (সদর) ও বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নেন। ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে বগুড়া-৪ আসন থেকেও নির্বাচন করেন হিরো আলম। যদিও পরে \’অনিয়মের অভিযোগ তুলে\’ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান তিনি।