নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেছেন, আগামী ২৯ ডিসেম্বর হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ডাকা সমাবেশের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানাবে নির্বাচন কমিশন। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ই পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
আজ শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
আগামী ২৯ ডিসেম্বর হেফাজতে ইসলাম সমাবেশের ডাক দিয়েছে, তারা অরাজনৈতিক সংগঠন। এ বিষয়ে ইসির করণীয় জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, বিষয়টি আমার পত্রিকার মাধ্যমে জেনেছি। বিষয়টি আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করব। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। কমিশন যদি মনে আরও কোনো সাজেশন দেওয়ার প্রয়োজন আছে, তাহলে কমিশন সেটা করবে।
বিএনপি মানববন্ধনের কর্মসূচি দিয়েছে, বিষয়টিতে ইসি কিছু করণীয় আছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম দেখভাল করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা সেখান থেকেই গণমাধ্যমকে জানতে হবে।
যেসব রাজনৈতিক দল নির্বাচনের বাইরে আছে, তারা যদি কোনো সভা সমাবেশ করে তাহলে সেটা ইসির এখতিয়ারের মধ্যে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, নির্বাচনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী যে কোনো কার্যক্রম অবশ্যই নির্বাচনী পরিপন্থি হিসেবে গণ্য হবে। সেক্ষেত্রে যে প্রচলিত বিধি-বিধান ও আইন আছে, তা সবার জন্য প্রযোজ্য হবে।
আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুকে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের জন্য নির্বাচন কমিশন তবল করেছে, বিষয়টি সামনে আনা হলে ইসি সচিব বলেন, ঝালকাঠি-২ আসনের একজন প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন বিধায় রিটার্নিং অফিসার রিপোর্ট করেছেন, সেই ভিত্তিতে তাকে আগামী ১৫ ডিসেম্বর বিকেল ৩টায় সশরীরে হাজির হয়ে বক্তব্য প্রদানের জন্য বলা হয়েছে।
এদিকে, আপিল গ্রহণের শেষ দিনেও নির্বাচন কমিশনে ছিল মনোনয়ন বাতিল হওয়ায়দের উপচে পড়া ভিড়। এদিন বৈধ প্রার্থীদের বিরুদ্ধেও বেশকিছু আপিল আবেদন জমা পড়েছে। প্রার্থিতা ফিরে পেতে ও বাতিল চেয়ে পাঁচ দিনে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল আবেদন করেছেন ৫৬১ প্রার্থী।
তার মধ্যে শেষ দিন আপিল জমা পড়েছে ১৩০টি। এর আগে প্রথম দিন ৪২ জন, দ্বিতীয় দিন ১৪১ জন, তৃতীয় দিন ১৫৫ জন, চতুর্থ দিন ৯৩ জন আবেদন করেন। আপিল নিষ্পত্তি চলবে ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
ইসি সচিব জানান, নির্বাচনের বাইরে থাকা দলগুলোর সভা সমাবেশের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে নির্বাচনে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে কমিশন।
তিনি আরও জানান, প্রার্থিতা ফিরে পেতে কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার পথ খোলা থাকবে। আর নির্বাচনে সেনা মোতায়ন হবে কিনা সে বিষয়ে ১১ ডিসেম্বর বৈঠকে বসবে নির্বাচন কমিশন।