বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগ আর দুর্ভিক্ষ একে অপরের পরিপূরক। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মানেই দুর্ভিক্ষ আর দুর্নীতি। তারা ক্ষমতায় আসলে দেশে দুর্ভিক্ষ আনে।’
আজ শনিবার (৯ ডিসেম্বর) এক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে তিনি মন মন্তব্য করেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, সরকার দেশের সমস্ত সম্পদ লুটপাট করে রাজকোষ শেষ করেছে। আমদানি করার মত ডলার নাই। এলসি বন্ধ। সব টাকা বিদেশে পাচার করেছে। ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি ঋণের পাহাড় আর ১৫ বিলিয়ন ডলারের তলানিতে রিজার্ভ নামিয়ে এখন কমেডি করছেন রাষ্ট্র পরিচালনায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিএনপি মার্চের দিকে দেশে দুর্ভিক্ষ ঘটাবে কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, বিনাভোটে ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে রাষ্ট্রক্ষমতায় থেকে দেশকে উন্নয়নের গল্প শুনিয়ে আর দেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার গলাবাজি করে এখন বলছেন দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করবে বিএনপি! কি হাস্যকর কথা!
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশে দুর্ভিক্ষ আসে উল্লেখ করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ১৯৭৪ সালে যেভাবে দেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল, আওয়ামী লীগের দুর্নীতি, লুটপাট, টাকা পাচার, অবিচার–অনিয়মের কারণে দেশে এখন আবারও সেই দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে।
তিনি বলেন, গুম, খুন, লুটপাট, ভোট ডাকাতি, কেন্দ্রীয় ব্যাংক লুট, অর্থ পাচার, চাপাবাজি, মিথ্যাবাজি, সীমাহীন মূল্যস্ফীতি, ধোঁকাবাজির হাত থেকে রেহায় পেতে এখন ‘উদরপিন্ডি বুধোর ঘাড়ে’ চাপানোর ফন্দি আঁটছে সরকার। শেখ হাসিনা দেশের ভয়াবহ অর্থনৈতিক দেউলিয়াত্বে অসহায় হয়ে পড়েছেন। নিজের অব্যবস্থাপনা আর ব্যর্থতা ঢাকতে বিএনপি ও বিদেশিদের উপর অগ্রিম দোষ চাপানোর চেষ্টা করছেন। ইতিমধ্যেই শেখ হাসিনার অপশাসনে দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, দেশটাকে লুটেপুটে খেয়ে দুর্ভিক্ষের মধ্যে ফেলে দিয়েছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের রোম আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তিকে গুম করা একটি মানবাধিকারবিরোধী অপরাধ। স্বৈরতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলো সমাজের মধ্যে ত্রাস ছড়িয়ে দিতে এই ভয়াবহ অপরাধটি করে থাকে। বাংলাদেশেও গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলনরত বিএনপিসহ বিরোধীদলীয় রাজনৈতিক দলগুলোর নেতা–কর্মী ও সমর্থকেরা গুমের ঘটনাগুলোর সবচেয়ে বেশি শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।