বরিশাল সিটি করপোরেশনের সদ্য সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ তার শেষ কর্মদিবসে সিটি করপোরেশনে ১৩৪ জন দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছিলেন।
সেই ১৩৪ কর্মচারীর নিয়োগ বৃহস্পতিবার বাতিল করা হয়েছে। নবনির্বাচিত মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ দায়িত্ব গ্রহণের ২৮ দিনের মাথায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। চাকরিচ্যুত এই ১৩৪ জন ছাড়া আরও ৫১ জন মজুরিভিত্তিক কর্মচারীকে কর্মস্থলে না আসার জন্য মৌখিকভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, বিদায়ের আগমুহূর্তে দৈনিক মজুরিভিত্তিক এসব কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে যান সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। সে সময় প্রায় ৩০০ কর্মচারীকে নিয়োগ দেয়া হয়।
বিসিসি সূত্র বলছে, প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তাই প্রয়োজনের চেয়ে বাড়তি কর্মচারীদের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে।
সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক শাখা সূত্র জানায়, নিয়োগ বাতিল হওয়া এসব কর্মচারী পরিচ্ছন্নতা, প্রশাসন, হাটবাজার, ভান্ডার, বিদ্যুৎ-সম্পত্তি, জন্মনিবন্ধন, প্রকৌশল, সিটি নিরাপত্তা, কর আদায়, সম্পত্তি, বাণিজ্য, জনসংযোগসহ বিভন্ন শাখায় কর্মরত ছিলেন।
সূত্র মতে, আরও ৫১ জন কর্মচারীকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কর্মস্থলে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। রবিবার ওই ৫১ জনের বিষয়েও সিদ্ধান্ত হতে পারে।
বিসিসির কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান বিপ্লব গণমাধ্যমকে বলেন, যাদের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে, তারা যোগদানের আগেই দুই মাস অ্যাডভান্স বেতন নিয়েছেন। সাবেক মেয়র সাদিক বিদায়ের এক মাস আগে প্রায় ৩০০ দৈনিক মজুরকে নিয়োগ দেওয়া হয়। অথচ তাদের কোনো নির্দিষ্ট কাজের জায়গা নেই। নিয়োগে কোনো কমিটিও করা হয়নি। নতুন পরিষদ দায়িত্ব নিয়ে জরুরি সভায় বাড়তি এই কর্মচারীদের নিয়োগ বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়।
তবে নানা অভিযোগ তুলেছেন চাকরি হারানো কর্মচারীরা। বিসিসির নিরাপত্তাকর্মী শহিদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, গতকাল (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় কাজ শেষ করে নগর ভবনে আসলে তাকে প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানিয়ে দেন, তার আর কর্মস্থলে আসতে হবে না।
অফিস সহকারী তাজাম্মুল ইসলাম বলেন, তিনি নভেম্বর মাসের ১ তারিখ চাকরিতে যোগদান করেছেন। গতকাল (বৃহস্পতিবার) তাকে জানিয়ে দেওয়া হয়, তার নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে।