প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন দেশ বাঁচাতে হলে নদী বাঁচাতে হবে। এজন্য নদী দূষণ বন্ধের নির্দেশনাও দেন তিনি। সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ঢাকার চারপাশের নদীসমূহের দূষণরোধ ও নাব্যতা রক্ষার লক্ষ্যে প্রণীত মাস্টারপ্ল্যানের আলোকে সম্পাদিত সমীক্ষা প্রতিবেদন অবলোকন এবং তৎসংশ্লিষ্ট প্রকল্প গ্রহণের নীতিগত সিদ্ধান্ত বিষয়ক সভায় তিনি এমন নির্দেশ দেন।
এদিন ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর দূষণরোধ ও নাব্য রক্ষার লক্ষ্যে নেয়া মাস্টার প্ল্যানের আলোকে সমীক্ষা প্রতিবেদন দেখা এবং এ নিয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত বিষয়ক সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকার চারপাশের নদী দূষণ রোধে বাড়তে থাকা ঢাকা মহানগরীর কথা মাথায় রেখেই নদী রক্ষার পরিকল্পনা করতে হবে। বন্যা ঠেকানো নয়, বন্যা বা পানি ব্যবস্থাপনার ওপর জোর দিতে হবে। পানির সাথেই বসবাস করতে হবে।
আগামী দশ বছরের মধ্যে ঢাকার চারপাশের নদীগুলো নিয়ে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানান শেখ হাসিনা।
অপরিকল্পিত নিচু ব্রিজ নৌ চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে জানিয়ে তিনি বলেন, শুধু এখানে নয়, সারা বাংলাদেশে স্থানীয় সরকারের পক্ষ থেকে কতগুলো ব্রিজ করা হলো, সে সময় ব্রিজগুলো মানুষের খুব উপকারে এলো, কিন্তু ব্রিজগুলো করার সময় এটা মাথায় রাখা হয়নি যে, এগুলোতে নৌ চলাচল ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যার জন্য এখন সমস্যা হয়ে গেছে, ব্রিজগুলো প্রতিবন্ধকতা।
শহরগুলো পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলার নির্দেশনা দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ঢাকার বাইরে অন্য শহরগুলোর ক্ষেত্রেও এখনই পরিকল্পনা নিতে হবে। আমরা যে পরিকল্পনাই করি না কেন, সেখানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পানির প্রবাহ ঠিক থাকে। নদীগুলোর ড্রেজিং করার সঙ্গে নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে হবে।