দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে একই এলাকায় (১১.৪ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮২.৭ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে গভীর নিম্নচাপটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।
আজ রোববার (৩ ডিসেম্বর) সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (৯) এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, গভীর নিম্নচাপটি শনিবার (২ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫৭০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫১৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৪৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৪৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
নিম্নচাপের কারণে সাগর উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর এবং কক্সবাজারকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
তখন আমরা বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দরে ২ নম্বর সতর্কসংকেত দিতে পারি। তবে ঘূর্ণিঝড় হলেও তা বাংলাদেশের দিকে আসার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। সোমবার এটি ভারতের দক্ষিণ অন্ধ্র ও তামিলনাড়ু উপকূলের মাঝামাঝি দিয়ে স্থলভাগ অতিক্রম করতে পারে। এর ফলে আগামী বুধবার বা এর পর থেকে ঢাকাসহ দেশের উপকূলীয় এলাকায় দুই-তিন দিন বৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর (আইএমডি) গতকাল তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, আগামীকাল সোমবার নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে ভারতের দক্ষিণ অন্ধ্র প্রদেশ ও তত্সংলগ্ন উত্তর তামিলনাড়ু উপকূলের দিকে অগ্রসর হতে পারে। মঙ্গলবার এটি ভারতের দক্ষিণ অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে আঘাত করতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টির ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা হাওয়ার বেগে ১০০ কিলোমিটারও হতে পারে।
গতকাল বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর মঙ্গলবার পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাস প্রকাশ করেছে। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চল ও নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে।
অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা থাকতে পারে প্রায় অপরিবর্তিত।