গাজায় শুরু হওয়া যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর বাস্তবসম্মত সুযোগ আছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। শুক্রবার প্রথম দফায় জিম্মি মুক্তির মধ্য দিয়ে হামাস ও ইসরাইলের মধ্যকার যুদ্ধবিরতির ‘মাত্র সূচনা’ হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ম্যাসাচুসেটসের ন্যানটাকেটে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে সংঘাত ও যুদ্ধবিরতি পরিস্থিতি নিয়ে এ কথা বলেন। খবর এএফপি’র।
পরিবারের সদস্যদের নিয়ে থ্যাংকসগিভিংয়ের ছুটি কাটাতে ন্যানটাকেটে অবস্থান করছেন বাইডেন।
যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় ইসরাইল ও হামাসের মধ্যকার চার দিনের যুদ্ধবিরতি শুক্রবার শুরু হয়েছে। এদিন সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য একটি দ্বিরাষ্ট্রিক সমাধানের রূপরেখা তৈরির ব্যাপারে নতুন করে কাজ করার সময় এসেছে।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, শুক্রবার হামাস প্রথম দফায় আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা রেডক্রসের কাছে মোট ২৪ জিম্মিকে হস্তান্তর করেছে। এর মধ্যে ১৩ ইসরাইলি নাগরিক, থাইল্যান্ডের ১০ ও একজন ফিলিপাইনের নাগরিক। ইসরাইলও তাদের কারাগারে বন্দী থাকা ৩৯ ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুকে মুক্তি দিয়েছে।
চুক্তির আওতায় জিম্মি মুক্তির পাশাপাশি চারদিন লড়াই বন্ধ রাখার ব্যাপারে দুই পক্ষের মধ্যে যে সমঝোতা হয়েছিল, তাও মানা হচ্ছে।
এ সাময়িক যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর আশাবাদ জানিয়ে বাইডেন বলেন, ‘আমি মনে করি, এ যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর বাস্তবসম্মত সুযোগ আছে।
এ যুদ্ধবিরতি কার্যকর নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘সকালে কয়েকদিন মেয়াদি এ চুক্তি কার্যকর হওয়ার সময়ে আমি আমার দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। এ তো কেবলই শুরু। তবে এখন পর্যন্ত যা হয়েছে, তা ভালোভাবেই হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি সকালই ওই অঞ্চলের অনেক নেতার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলে এ সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছি এবং আশা করছি, এই বিরতির মেয়াদ আরও বাড়বে।’
বাইডেন বলেন, ‘যুদ্ধবিরতির মেয়াদ ঠিক কতদিন বাড়বে তা আমি জানি না। তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও আরব বিশ্ব যেভাবে অগ্রসর হচ্ছে, এ যুদ্ধের ধ্বংসযজ্ঞ হ্রাস করতে যেভাবে বিভিন্ন দিক থেকে চাপ প্রয়োগ করছে, তাতে আশা করা যায় যে শীঘ্রই সেখানে যাবতীয় সংঘাতের অবসান আমরা ঘটাতে পারবো।
দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের পর জিম্মি ও বন্দি বিনিময়ের শর্তে হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে চার দিনের এ যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়, যা শুক্রবার থেকে কার্যকর হতে শুরু করেছে।