গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস আজ শনিবার যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় দিনে যাদের মুক্তি দেবে, তাদের একটি তালিকা ইসরাইলের কাছে হস্তান্তর করেছে। ইসরাইল ওই তালিকা হাতে পাওয়ার কথা স্বীকার করেছে।
ইসরাইল ধারণা করছে, শনিবার স্থানীয় সময় বিকেল ৪টার আগে বন্দীদের মুক্তি দেয়া হবে। উল্লেখ্য, চার দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী, উত্তর গাজার আকাশে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কোনো নজরদারি বস্তু থাকছে না। ফলে গোপন স্থান লুকিয়ে রেখে ওই সময়ের আগেই বন্দীদের মুক্তি দেবে হামাস।
চুক্তি অনুযায়ী, চার দিনে দফায় দফায় বন্দীদের মুক্তি দেবে হামাস। এর বিনিময়ে ইসরাইলি কারাগার থেকেও তিনগুণ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেবে ইসরাইল। শুক্রবার প্রথম দিনে হামাস ১৩ ইসরাইলিকে মুক্তি দেয়। এর বিনিময়ে ইসরাইল মুক্তি দেয় ৩৯ ফিলিস্তিনিকে। এছাড়া হামাস শুভেচ্ছার নিদর্শন হিসেবে থাইল্যান্ডের ১২ বন্দীকে মুক্তি দেয়।
ইসরাইল আশা করছে, প্রথম যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী ৫০ বন্দীকে মুক্তি প্রদানের পর হামাস আরো ২০-৩০ বন্দী নারী ও শিশুর অবস্থার কথা জানাবে।
এদিকে শুক্রবার মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে হানা কাটজির রয়েছেন। তিনি ইসলামিক জিহাদের হাতে বন্দী ছিলেন। তার মুক্তি প্রমাণ করে যে গাজাভিত্তিক প্রতিরোধ আন্দোলনগুলোর মধ্যে সহযোগিতার মনোভাব রয়েছে। ফলে হামাস ছাড়াও অন্যান্য গ্রুপের হাতে আটক বন্দীদের মুক্তি পাওয়াও সম্ভব হবে।
হামাস এবং অন্যান্য গ্রুপের হাতে মোট ২৪০ জনের মতো বন্দী ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। বর্তমানে দুই পক্ষই কেবল নারী ও শিশুদের মুক্তি দিচ্ছে।