৩৯ জন ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল

ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন ৩৯ জন ফিলিস্তিনি নারী ও শিশু। হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যে চার দিনের যুদ্ধবিরতি চলছে, তারই অংশ হিসেবে এই ৩৯ জনকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। একই চুক্তির আওতায় কাতারের মধ্যস্ততায় ২৪ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তাদের মধ্যে ইসরায়েলি ছাড়াও থাইল্যান্ড ও ফিলিপাইনের নাগরিক রয়েছেন।

আলজাজিরার খবরে বলা হয়েছে, আজ শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) যুদ্ধবিরতির প্রথম দিনে দুপক্ষের মোট ৬৩ জন জিম্মি ও বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়েছেন। এদের উল্লেখযোগ্য একটি অংশই নারী ও শিশু।

ইসরায়েলের বন্দিদশা থেকে ফিলিস্তিনিদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি বলেন, চুক্তি অনুযায়ী, ইসরায়েল ৩৯ জনকে মুক্তি দিয়েছে। মুক্তিপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনিরা ওফার কারাগারে বন্দি ছিলেন। এসব ফিলিস্তিনিকে কারাগার থেকে বের করার আগে সেখানে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা তৈরি করে ইসরায়েলি পুলিশ।

চুক্তি মোতাবেক মিশরের রাফাহ সীমান্ত দিয়ে ত্রাণবাহী ট্রাকের বহরও ঢুকছে গাজায়। জরুরি খাদ্য, পানি, চিকিৎসা সামগ্রী ছাড়াও এই বহরে আছে বহুল কাঙ্খিত জ্বালানি সহায়তা। চারদিনের যুদ্ধবিরতির সুযোগে বেঁচে থাকা স্বজনদের খোঁজে গাজায় যাচ্ছেন প্রবাসী ফিলিস্তিনিরা। অনেকেই ঢুকেছেন মিশরের রাফাহ সীমান্ত দিয়ে। স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকাল ৪টা আর বাংলাদেশ সময় রাত ৮টার পর প্রথম ধাপে ২৪ জিম্মিকে মুক্তি দেয় হামাস। এরমধ্যে ১০ জনকে নিজ দেশের নাগরিক বলে নিশ্চিত করেছেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী। বন্দিবিনিময় হয়েছে মিশরের রাফাহ সীমান্তের ভেতরে।

যুদ্ধবিরতি শেষে গাজায় আরও তীব্র হামলার আগাম ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত। টানা ৪৮ দিনের বর্বর হামলায় ১৪ হাজার ৮০০-এর বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। এদিকে শুক্রবার ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার পাশাপাশি ১২ থাই নাগরিককেও ছেড়ে দেয় হামাস।

Scroll to Top