বিক্রি শুরুর পরে মাত্র আড়াই ঘণ্টায় শেষ হয়ে গেছে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে যাতায়াতের নতুন ট্রেন কক্সবাজার এক্সপ্রেসের সব টিকিট।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ে এই টিকিট বিক্রি শুরু করে। টিকিট শেষ হওয়ার বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান কক্সবাজারের স্টেশন মাস্টার গোলাম রাব্বানী। তিনি বলেন, আজ সকাল ৮টা থেকে ১, ২ ও ৩ ডিসেম্বরের টিকিট অনলাইনে ও রেলস্টেশনে বিক্রি করা হচ্ছে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা থেকে কক্সবাজার রুটের সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। কক্সবাজার থেকে ঢাকা রুটের কিছু টিকিট এখনো বাকি আছে।
প্রায় আড়াই হাজার টিকিটের ৯০ শতাংশই অনলাইনে বিক্রি হয়। অনলাইনে টিকিট কাটার সুবিধা ধাকায় কাউন্টারে ভিড় না করে প্রযুক্তিগত সাহায্যেই বেশি মানুষ টিকিট কেটেছেন বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
এর আগে রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার সাহাদাত আলী জানিয়েছিলেন, ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের টিকিট দেওয়া হবে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটেরও টিকিট দেওয়া হবে। ফিরতি যাত্রাতেও একই নিয়ম অনুসরণ করা হবে।
রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, ১ ডিসেম্বর কক্সবাজারের আইকনিক স্টেশন থেকে দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে \’কক্সবাজার এক্সপ্রেস\’। চট্টগ্রামের পৌঁছাবে বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে। সেখান থেকে বিকেল ৪টায় যাত্রা করে ঢাকায় পৌঁছবে রাত ৯টা ১০ মিনিটে। ট্রেনটি শুধু ঢাকার বিমানবন্দর ও চট্টগ্রাম স্টেশনে যাত্রাবিরতি দেবে। পথিমধ্যে আর কোনো স্টেশনে থামবে না।
ওই দিন ট্রেনটি রাত সাড়ে ১০টায় ঢাকার কমলাপুর স্টেশন থেকে যাত্রা করে চট্টগ্রামে রাত ৩টা ৪০ মিনিটে পৌঁছবে। সেখানে ২০ মিনিট যাত্রাবিরতি দেবে। কক্সবাজারে পৌঁছবে সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে।
ঢাকা-কক্সবাজার রুটে শোভন চেয়ার (নন-এসি সিট) শ্রেণিতে প্রতিটি সিটের ভাড়া ৫০০ টাকা। আর স্নিগ্ধা (এসি সিট) শ্রেণিতে প্রতিটি সিটের ভাড়া ৯৬১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রথম শ্রেণি চেয়ার ৬৭০ টাকা, প্রথম শ্রেণির বার্থ বা সিট ১ হাজার ১৫০ টাকা ও এসি বার্থের টিকিটের দাম জনপ্রতি ১ হাজার ৭২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। তবে ননস্টপ ট্রেনের ক্ষেত্রে শোভন চেয়ারে ৫০ টাকা ভাড়া বাড়বে। একই সঙ্গে স্নিগ্ধা, প্রথম শ্রেণি, এসি বার্থের ভাড়াও ১০০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বাড়বে বলে জানানো হয়।
উল্লেখ্য, গত ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ এর উদ্বোধন করেন।