নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনে আসতে চাইলে আইন দেখে সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। আজ সোমবার (২০ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি এ কথা বলেন। সেই সঙ্গে ইসি রাশেদা বলেন, ভোটের তারিখ পেছানোর প্রয়োজন হলে ভেবে দেখবে কমিশন।
তিনি বলেন, নির্বাচনে এখনো যেসব রাজনৈতিক দল আসেনি তারা যদি আসতে চায় তাহলে আইন মেনে তাদের নির্বাচনে আসার পথ তৈরি করা হবে।
তফসিলে পেছানো যায় কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘অগ্রিম আমি এই বিষয়ে কিছুই বলবো না, কিছু বলা উচিতও না। যখন পরিস্থিতি আসবে তখন দেখা যাবে। ওনারা (বিএনপি) যদি আসেন আমরা ওয়েলকাম করবো। বিএনপি নির্বাচনে আসলে আইন মেনে সুযোগ সৃষ্টি করা হবে।’
একটি বড় দল (বিএনপি) এবং আরও অনেক দল ভোটের বাইরে আছে, তারা যদি ভোটে ফিরতে চায়, এই তফসিলে কি ফেরা সম্ভব বা নাকি বিএনপির জন্য কোনো বিবেচনা থাকবে? এমন প্রশ্নের জবাবে রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘দেখেন যদি ফিরতে চান, আমার জানামতে পূর্বেও ওনারা একটু পরেই এসেছিলেন এবং সুযোগটা পেয়েছিলেন। ওনারা যদি ফিরতে চান, কীভাবে কী করা যাবে, নিশ্চয়ই আমরা আলোচনা করবো, সিদ্ধান্ত নেবো। ওনারা সিদ্ধান্ত নিলে, আসতে চাইলে অবশ্যই আমরা ওয়েলকাম করবো। কখনোই চাইবো না যে ওনারা আসতে চেয়েছেন, আমরা ফিরিয়ে দেবো। এটা হবে না।’
তিনি বলেন, ‘বিস্তারিত এখন কিছুই বলবো না। ওনারা যদি আসেন, আমরা কমিশনাররা বসবো। আইন-কানুন দেখবো। তারপর যেটা সিদ্ধান্ত হয়। অগ্রিম কিছু বলতে পারবো না।’
তার মানে আপনারা বিবেচনা করবেন- এ বিষয়ে তিনি বলেন, এলে তো বিবেচনা করবোই। অবশ্যই করবো। আমরা তো চাই সব দল এসে একটা সুন্দর নির্বাচন হোক।’
এই বিবেচনার মধ্যে কী পন্থা আছে- জানতে চাইলে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘কী পন্থা আছে এই মুহূর্তে আমি বিস্তারিত বলতে পারবো না। আপনারা দেখেন ২০১৮ সালের নির্বাচনে আমার জানামতে ওনারা এসেছিলেন। ওই নির্বাচনে কিন্তু ওনাদের জন্য একটু স্পেস তৈরি করা হয়েছিল। আমরা যেভাবে আইনে আছে, সেভাবেই করবো। আমি ডিটেইল আর কিছু বলবো না।’
জাপা তফসিল পেছানোর জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন জানিয়েছে, তো তফসিল একটু পেছানো যায় কি না- এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এই বিষয়ে আমরা কিছুই বলবো না। অগ্রিম বলার সময় এখনো আসেনি। যখন আসবে, যেটা হবে, সেটাই বলবো। পরিস্থিতি যখন আসবে, পরিস্থিতি দেখে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো। অগ্রিম এ বিষয়ে কোনো কথাই বলবো না, বলা উচিত না। ওনারা এলে আমরা ওয়েলকাম করবো। এটার জন্য ওনাদের জন্য আইন অনুযায়ী যেভাবে পথ সৃষ্টি করতে হবে সেভাবে করবো। কিন্তু আগেই বলবো না।’
রাশেদা সুলাতানা আরও বলেন, সংকট সৃষ্টি হওয়ার আগেই যদি ওনারা আসেন? কাজেই এখনই কিছু বলবো না। অতীতে যেভাবে হয়েছে আমরা দেখবো। যদি বাড়ানো প্রয়োজন হয়, আমরা বাড়াবো। যদি বাড়ানোর মধ্যে না হয়ে এমনিই হয়, তাহলে হবে। কোনো অসুবিধা নেই। যদি এই তফিসলের মধ্যেই আসেন, তাহলে তো তফসিলে হাত দেওয়ার দরকার নেই।’
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘নিশ্চয়ই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের এখনো স্পেস আছে। মাঠের রাজনীতিতে যখন বিভাজন তৈরি হয়েছে, তখন (পরিস্থিতি) শান্ত নাকি অশান্ত তা আমার বলতে হবে না। আপনারাই দেখতে পাচ্ছেন। জনগণও দেখতে পাচ্ছে। কিন্তু অশান্ত আছে, তাই বলে শান্ত হবে না এমন কোনো কথা না। যে কোনো মুহূর্তে শান্ত হতে পারে।’
তিনি দলগুলোর উদ্দেশে বলেন, ‘আমাদের প্রতি আস্থা রাখুন। আসুন, নির্বাচন করুন। নিঃসন্দেহে আপনারা একটা ভালো সুষ্ঠু, সুন্দর নির্বাচন করার সুযোগ পাবেন। ভোটাররা এসে স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। তাদের যাকে ইচ্ছা তাকে মনোনয়ন করবেন। নিশ্চয়ই আমরা লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করবো।’