সাত বছরের প্রেমের সম্পর্কের পরিণতি পেল এ বিয়েতে। কিন্তু শত তরুণীর হৃদয় যে ভেঙে গেল, সেটির কী হবে? তাসকিন কিছু বলার আগেই পাশ থেকে সলাজ হাসিতে নাঈমার রসিকতা, ‘একটা বন্ধন গড়তে হলে কিছু হৃদয় তো ভাঙবেই! নিয়তি এই বাঁধন যার সঙ্গে লিখে রেখেছে, সেটিই হবে।’
দুজনের বেড়ে ওঠা একই এলাকায়। প্রথম পরিচয় সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময়ে। তাসকিনই প্রথমে প্রেমে পড়েছিলেন নাঈমার। তবে শুরুতে বাংলাদেশ দলের সুদর্শন পেসার নাকি পাত্তাই পাননি নাঈমার কাছে!
দুই মেরুর দুটি মানুষ কীভাবে এক বিন্দুতে মিলেছেন, হেমন্তের বিকেলে গল্পটা শোনালেন নাঈমা, ‘চারিত্রিক দিক দিয়ে দুজন দুই রকম ছিলাম। একবার ওর ছোট বোন প্রিয়ন্তির জন্মদিন বেশ ঘটা করে পালন করা হলো। জন্মদিনের অনুষ্ঠানেই আসলে আমাদের দুজনের রাস্তাটা এক হয়ে গেল। প্রেম করতে গেলে সাধারণত নানা বাধা-বিপত্তির মধ্যে যেতে হয়। আমাদের তেমন কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি। দুই পরিবারই সব জানত। আমরা অনেক সৌভাগ্যবান বলতে পারেন।’
জীবনের নতুন পর্বে পা রেখে তাসকিনের অনুভূতি কী, সেটি তার হাসিমাখা মুখাবয়বই বলে দেয়। কিন্তু এই আনন্দক্ষণেও তার ভাবনায় চলে আসে দুঃস্বপ্নের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর, ‘আমরা যখন ভালো করি, তখন মানুষ আমাদের মাথায় তুলে নেয়। আবার খারাপ করলেই গালমন্দ করে। কিন্তু খেলাই তো জীবন নয়। জীবনের অংশ মাত্র। ব্যর্থতা ভুলে মানসিক প্রশান্তি পেতে, নিজেকে নতুন করে এগিয়ে নেওয়ার প্রেরণা খুঁজতে, জীবনটাকে নতুন করে সাজাতে এই সিদ্ধান্ত।’
আপাতত বিপিএল নিয়ে তাসকিনের ব্যস্ততা থাকায় মধুচন্দ্রিমায় যাওয়া হচ্ছে না নবদম্পতির। তবে পরিবার নিয়ে আগামী মাসে মালদ্বীপে ঘুরে আসার পরিকল্পনা আছে দুজনের।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, ২ নভেম্বর, ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/পিকে