অবশেষে মিরপুরের রাস্তা ছেড়েছেন পোশাকশ্রমিকেরা। আজ মঙ্গলবার সকাল আটটার দিকে শ্রমিকেরা ওই এলাকার রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। প্রায় তিন ঘণ্টা অবরোধ ও বিক্ষোভের পর বেলা পৌনে ১১টার দিকে মিরপুর–১০, ১৩ ও ১৪ নম্বর গোল চত্বর এলাকার রাস্তা ছেড়ে দেন তারা।
মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্বরে সকাল ১০টার পর পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা অবস্থান নেন। কিছুক্ষণ অবস্থানের পর তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এর আগে সকাল থেকে তারা মিরপুর–১৩ ও ১৪ নম্বর এলাকায় নেমেছিলেন।
অবরোধ ও বিক্ষোভে অংশ নেয়া পোশাকশ্রমিকেরা কাফরুল এলাকার এদিকে কাফরুল থানার ওসি ফারুকুল আলম বলেন, আজ সকাল আটটার দিকে মিরপুর-১৪ নম্বর এলাকার রাস্তায় অবস্থান নেন কয়েকটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা। এতে রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর সেখান থেকে তারা মিরপুর–১৩ নম্বর এলাকায় গিয়ে অবস্থান করেন। সকাল ১০টার দিকে তারা মিরপুর–১০ নম্বরের দিকে চলে যান।
গত সোমবার (২৩ অক্টোবর ) থেকে শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর দাবিতে শুরু করা আন্দোলনের মধ্যে মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) পোশাক খাতের জন্য সরকার গঠিত মজুরি বোর্ড ১২ হাজার ৫০০ টাকা ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করে। নতুন বেতনকাঠামো প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন অব্যাহত রেখে তারা ন্যূনতম মজুরি ২৩ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা করার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। কিন্তু মালিকপক্ষের দেওয়া ১২ হাজার ৫০০ টাকার প্রস্তাবই চূড়ান্ত করে শ্রম মন্ত্রণালয়।
শ্রমিকদের বিক্ষোভ চলাকালে কারখানা ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাটসহ বিভিন্ন অভিযোগে শুধু আশুলিয়া ও সাভারে করা ৪০ মামলায় নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ২৩ হাজার ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এসব মামলায় এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছেন ৯৫ জন।