সব বয়সের মানুষের জন্য চীনাবাদাম স্বাস্থ্যসম্মত খাবার। শখ করে কখনও কখনও হয়তো খাওয়া হয় তবে এর উপকারিতা সম্পর্কে জানলে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এই বাদাম রাখতে চাইবেন। এটি শরীরের অনেক উপকার করতে সক্ষম। এটি পুষ্টি গুণসম্পন্ন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে খেতেও বেশ দারুণ।
চীনাবাদামে স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক। যাদের শরীরে মাত্রাধিক কোলেস্টেরল হৃদরোগ, উচ্চ রক্ত চাপ, ওজন বৃদ্ধি ও ডায়াবেটিসের মতো কঠিন রোগ আছে। বাদামের অসাধারণ কার্যকরী ফ্যাট শরীর থেকে কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। তাছাড়া এই বাদাম শরীরের চর্বি কমাতেও সাহায্য করে। প্রতিদিন একমুঠো চীনা বাদাম খেতে পারেন শরীরের কোলেস্টেরল কমাতে। রাতে ১০-১৫টি বাদাম পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। চীনা বাদামের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ডায়াবেটিস নির্মূলে বিশেষভাবে কার্যকরী।
এছাড়া চীনা বাদাম রক্ত থেকে সুক্রোজের মাত্রা কমায়। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় একমুঠো বাদাম যুক্ত করে আপনি অতিরিক্ত ওজনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। তাছাড়া এটি আপনার শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করতেও সহায়তা করে। চীনাবাদামে প্রচুর পরিমাণ বি৩ আছে যা মস্তিষ্কের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে। কিছু কিছু মানুষের স্মৃতিশক্তি তুলনামূলকভাবে অন্যদের চেয়ে কম। খুব অল্প বয়সেই অনেকেই ভুগছেন মস্তিষ্কের সমস্যায়। ভুলে যাচ্ছেন সামান্য বিষয় এবং অনেক চেষ্টা করেও মনে রাখতে পারছেন না। এমনটা হয় যখন আমাদের মস্তিষ্ক পরিমাণমতো পুষ্টি পায় না। একে মস্তিষ্কের খাবার হিসেবে গণ্য করা যায়।
চীনাবাদামে প্রচুর পরিমাণে বি৩ আছে যা মস্তিষ্কের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে। তাই প্রতিদিন চীনাবাদাম বা এর মাখন খাবেন, যাতে করে আপনি স্বয়ংক্রিয় মস্তিষ্ক পেতে পারেন। শরীরে সঠিক পরিমাণ পুষ্টি না থাকলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। চীনাবাদামের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরে কঠিন রোগকে বাসা বাঁধতে বাধা দান করে। তাই প্রতিদিন চীনাবাদাম খেয়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ান।