এক বছর পর আবারও বৈঠকে বসতে চলেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আগামী বুধবার (১৫ নভেম্বর) তাদের মধ্যে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
বৈঠকে বাণিজ্য ও তাইওয়ানসহ আরও বেশ কিছু ইস্যুতে আলোচনা হতে পারে। এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো সামনা-সামনি বৈঠকে বসতে চলেছেন বৈশ্বিক পরাশক্তি এই দুই দেশের নেতা।
গতকাল শুক্রবার (১০ নভেম্বর) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিসকো উপসাগরীয় অঞ্চলে এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (এপিইসি) শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে এই বৈঠক কয়েক ঘণ্টা স্থায়ী হতে পারে। এতে অংশ নিতে পারেন বেইজিং এবং ওয়াশিংটনের কর্মকর্তাদের পৃথক দল।
হোয়াইট হাউজ গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে বৈঠকের দিন নিশ্চিত করেছে। একই দিন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, শি ১৪-১৭ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্র সফর করবেন, এপেক সম্মেলনে যোগ দেবেন এবং বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
জানা গেছে, ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, তাইওয়ান, ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল, উত্তর কোরিয়া, মানবাধিকার, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং ন্যায্য বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্কসহ বৈশ্বিক ইস্যুগুলো বৈঠকে আলোচিত হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, সবকিছু আলোচনার টেবিলে আছে। আমরা এ ব্যাপারে পরিষ্কার। আমরা জানি, কয়েক দশক ধরে চীনকে সংস্কারের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। তবে আমরা আশা করি, চীন আমাদের বাকি জীবনের জন্য বিশ্বমঞ্চে একটি বড় খেলোয়াড় হবে।
এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে উড়ে আসা সন্দেহভাজন একটি চীনা গুপ্তচর বেলুন ভূপাতিত করা হয়। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়। এরপর বৈরী সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের জন্য তৎপরতা শুরু করে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দল।
সামরিক শক্তি অর্জন, একবিংশ শতাব্দীর অর্থনীতিকে কোণঠাসা করা এবং দ্বিতীয় স্তরের দেশগুলোর ভালোবাসা অর্জনের জন্য উভয় দেশই সরাসরি প্রতিযোগিতায় জড়িয়ে পড়ছে বলে মনে করছে।