ইসরায়েল বলেছে, তাদের সেনারা গাজার অনেক ভেতরে ঢুকে পড়ছে। সেখানকার অধিবাসীরা বলছেন, গাজার শহরাঞ্চলের প্রাণকেন্দ্রে হামলা চালাতে শহরতলিতে অবস্থান নিয়ে আছে ট্যাংক।
ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ) এর দক্ষিণাঞ্চলীয় কমান্ডের কমান্ডিং অফিসার মেজর জেনারেল ইয়ারন ফিঙ্কেলম্যান মঙ্গলবার গাজা সীমান্তের কাছে সাংবাদিকদের বলেছেন, “কয়েক দশকের মধ্যে এই প্রথম আইডিএফ গাজা সিটির প্রাণকেন্দ্রে, সন্ত্রাসবাদের প্রাণকেন্দ্রে লড়ছে।
স্থানীয় সময় গত সোমবার নেতানিয়াহু মন্তব্য করেছিলেন, যুদ্ধ শেষে ইসরায়েল গাজায় ‘সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব’ নিবে। এ ছাড়া গত মঙ্গলবার তাঁর যুদ্ধ মন্ত্রিসভার একজন সদস্যও এই বিষয়টি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন। ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ) এর দক্ষিণাঞ্চলীয় কমান্ডের কমান্ডিং অফিসার মেজর জেনারেল ইয়ারন ফিঙ্কেলম্যান মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেছেন, কয়েক দশকের মধ্যে এই প্রথম আইডিএফ গাজার সন্ত্রাসবাদের প্রাণকেন্দ্রে লড়ছে। প্রতিদিন, প্রতি ঘন্টায় ইসরায়েলি বাহিনী জঙ্গি হত্যা করছে।
উত্তর গাজার প্রাণকেন্দ্র এই শহর। এখানে হামাসের শক্তিশালী সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। মাটির নিচে রয়েছে বিস্তৃত ও গভীর টানেল। এখন সেখানে তীব্র বন্দুকযুদ্ধ চলছে।
ইসরায়েলের কৌশলগত বিষয়ক মন্ত্রী রন ডার্মার বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের নিউজআওয়ারকে বলেছেন, নেতানিয়াহু বলতে চেয়েছেন, ইসরায়েল নিশ্চিত করবে গাজা যেনো কোনো ধরনের অস্ত্র না থাকে। সামরিক বাহিনী সেখানে নিরাপত্তা অভিযান পরিচালনা করবে। তিনি আরো বলেন, ইসরায়েল এই এলাকা পুনর্দখল বা শাসন করবে না।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, রাফাহ ক্রসিং দিয়ে ৪০০ জনেরও বেশি মার্কিন নাগরিক গাজা ছেড়ে মিসরে চলে গেছেন। দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস, রাফাহ এবং দেইর আল-বালাহ শহরে বিমান হামলায় বহু নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অনুসারে গাজায় দশ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে চার হাজার ৪০০ বেশি শিশু রয়েছে।
অপরদিকে ইসরায়েলে হামাসের হামলায় নিহত হয়েছে এক হাজার ৪০০ এবং ২০০ জনেরও বেশি মানুষকে জিম্মি করেছে হামাস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, ইসরায়েল-গাজা সংঘর্ষে মৃত্যু ও দুর্ভোগের মাত্রা ভাবা কঠিন। সংস্থার মুখপাত্র ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডমেয়ার বলেছেন, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে ১০০ টিরও বেশি হামলা হয়েছে।
সূত্র: বিবিসি