ব্যাংকগুলোতে নগদ ডলারের সর্বোচ্চ দাম আরও এক টাকা বেড়েছে। মঙ্গলবার বেসরকারি খাতের একটি ব্যাংকে এর দাম ১১৬ টাকায় উঠেছে। সোমবার একটি ব্যাংকে সর্বোচ্চ ১১৫ টাকা দরে ডলার বিক্রি হয়েছিল।
আজ মঙ্গলবার দাম বেড়ে ৬টি ব্যাংকে ১১৫ টাকা দরে ডলার বিক্রি হয়েছে। ১৬টি ব্যাংকে ১১৪ টাকা ও এর বেশি দামে নগদ ডলার বেচাকেনা হচ্ছে। ব্যাংকগুলোতে নগদ ডলারের সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। যে কারণে এর দাম বেড়ে যাচ্ছে।
তবে বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) নগদ ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণ করে না। ফলে এক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো নিজেদের মতো ক্রয় ও বিক্রয় মূল্যের দাম নির্ধারণ করতে পারে। তারা প্রতি ডলারে গড়ে এক টাকা থেকে ২ টাকা মুনাফা করছেন। তবে ডলার সংকটের কারণে ব্যাংকগুলোতে নগদ ডলারের প্রবাহ একেবারেই কম। যে কারণে লেনদেনও কম।
এদিকে ব্যাংকগুলোতে নগদ ডলারের প্রবাহ কম থাকলেও খোলা বাজারে আবার ডলারের প্রবাহ বেড়েছে। একই সঙ্গে দামও বেড়েছে। মঙ্গলবার সোমবারের মতোই সর্বোচ্চ ১২২ টাকা করে খোলা বাজারে ডলার বেচাকেনা হয়েছে। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ১২০ থেকে ১২১ টাকা দরেও বেচাকেনা হয়েছে।
মঙ্গলবার বেসরকারি খাতের ওয়ান ব্যাংক সর্বোচ্চ ১১৬ টাকা দরে নগদ ডলার বিক্রি করেছে। তারা প্রতি ডলার কিনেছে ১১৫ টাকা করে। এদিন উত্তরা, ইউনিয়ন, সোশ্যাল ইসলামী, এনআরবি, আল আরাফাহ ও ব্র্যাক ব্যাংক সর্বোচ্চ ১১৫ টাকা করে প্রতি ডলার বিক্রি করেছে। এবি ব্যাংক সর্বোচ্চ ১৪ টাকা ৯০ পয়সা ও ১১৪ টাকা ৬৫ পয়সা দরে বিক্রি করেছে। তাদের মুনাফা প্রতি ডলারে ২৫ পয়সা। ব্যাংকগুলোতে প্রতি ডলারের গড় ক্রয়মূল্য ১১২ টাকা ৬৭ পয়সা ও বিক্রি মূল্য ১১৩ টাকা ৮০ পয়সা।
এদিকে খোলা বাজারে ডলার প্রবাহ আবার বাড়তে শুরু করেছে। একসঙ্গে বেশি ডলার কিনলে বান্ডিলের সিরিয়াল আকারেও ডলার মিলছে। এর কারণ হিসাবে জানা গেছে, খোলা বাজারের সঙ্গে ব্যাংকের ডলারের দামে ব্যবধান বর্তমানে ৭ থেকে ৮ টাকা। ফলে বিদেশি ও প্রবাসীদের মাধ্যমে দেশে যেসব নগদ ডলার আসছে সেগুলোর বেশিরভাগই খোলা বাজারে চলে যাচ্ছে। ব্যাংকে যাচ্ছে কম।