নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে ৫ নভেম্বর পালিত হলো ‘ইন্টারন্যাশনাল ওয়ান হেলথ ডে ২০২৩’। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ, ইউএসএইডসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সমন্বয়ে স্বাস্থ্য সচেতনতার লক্ষ্যে পালিত হচ্ছে দিবসটি।
রোববার বেলা আড়াইটায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বন ভবন মিলনায়তনে হলমন্তী অডিটোরিয়ামেওয়ান হেলথ দিবস উদযাপনের কর্মসূচি পালন করা হয়।
ওয়ান হেলথ বাংলাদেশের ন্যাশনাল কো-অর্ডিনেটর নিতিশ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, ‘সাধারণত নভেম্বরের ৩ তারিখে হলেও পুরো মাস জুড়েই ইন্টারন্যাশনাল ওয়ান হেলথ ডে উদযাপিত হবে। নানা কর্মসূচি চলবে দিবসটি ঘিরে। ওয়ান হেলথ এর লক্ষ্য মানুষ, প্রাণী এবং পরিবেশের টিকে থাকা ও রক্ষা করা। টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যগুলোকে ত্বরান্বিত করতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আমরা কোভিড-১৯সহ অনেকগুলো মহামারি মোকাবিলা করেছি। ২০০৯ এর পরে আমরা অন্তত ৪টি মহামারির মুখোমুখি হয়েছি। কোভিড-১৯ আমাদের একটি বড় শিক্ষা ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বে খাদ্যের চাহিদা বেড়েছে। সঠিক খাদ্য ব্যবস্থা (ফুড সিস্টেম) না থাকায় সারা বিশ্বে সমানভাবে সেই চাহিদা পূরণে ঘাটতি রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমস্যাগুলো মোকাবিলায় নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন। এখানে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’
অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, অনিয়ন্ত্রিত এন্টিবায়োটিক ব্যবহারে মানব শরীর এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স হয়ে উঠছে। এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত ভীতিকর। এন্টিবায়োটিক ব্যবহারে মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধিসহ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখলে ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করা সম্ভব হতে পারে।’
অনুষ্ঠানে একটি অ্যানিমেশন ভিডিওর মাধ্যমে কীভাবে মানব শরীর এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স হয়ে ওঠে ও তার প্রতিরোধ সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয়।