দ্রুত বিয়ে করার কারণ জানালেন তাসকিন!

সাত বছর আগে পরিচয়। পরিচয় থেকে প্রণয়। বছরখানেক আগে দু’পরিবারের সম্মতিতে ঘরোয়া পরিবেশে আংটি বদল হয় তাসকিন আহমেদ ও রাবেয়া নাঈমার। দুঃস্বপ্নের এক সিরিজ শেষ করে মঙ্গলবার সকালেই দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দেশে ফিরেন তাসকিন। দেশে ফিরেই শুভ কাজটা সেরে ফেললেন বাংলাদেশ দলের তরুণ এই পেসার। মোহাম্মদপুরের লালমাটিয়ায় অবস্থিত একটি কনভেনশন সেন্টারে তাসকিন আহমেদ ও স্ত্রী রাবেয়ার পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে সম্পন্ন হয় বিয়ে। খেলায় আরো ফোকাস বাড়ানোর জন্য, জীবনটাকে সুন্দর করে গুছিয়ে নেয়ার জন্যই দ্রুত বিয়েটা করেছি- বলে জানান জাতীয় দলের এই ক্রিকেটার।

ক্রিকেটারের পারিবারিক সূত্র জানায়, তাসকিন-রাবেয়ার দীর্ঘদিনের সম্পর্কের পর পারিবারিক সম্মতিতে বছরখানেক আগে আংটি বদল হয় দু’জনের। একই সঙ্গে ধার্য করা হয় তাদের বিয়ের দিনক্ষণ। এ ধারাবাহিকতায় দীর্ঘদিনের বান্ধবীকে আপন করে নেন তাসকিন। তাসকিনের স্ত্রী নাঈমা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (এআইইউবি) অর্থনীতিতে স্নাতক পড়ছেন। তাসকিনও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। থাকেন পাশাপাশি এলাকায় মোহাম্মদপুরে। তাসকিনের বিয়ের খবর প্রচারের পর ঝড় শুরু হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। গণমাধ্যমে বিয়ের খবর প্রকাশ হওয়ার পর তাসকিনের মেয়েভক্তরা ভেঙে পড়েছেন। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘তাসকিনের বিয়ে মানি না’ বলে ইভেন্ট খুলেছেন। সেখানে অনেকে তাসকিনের বৌকে নিয়ে নানা রকম মন্তব্য করছেন। তাসকিনের হয়ে এর জবাব দেন টিভি অভিনেতা সালমান মুক্তাদির। সালমান ব্যক্তিগত জীবনে তাসকিনের বন্ধু।

তিনি বন্ধুর বৌয়ের সমালোচনার জবাবে তাসকিনের সঙ্গে একটি কথোপকথন তুলে ধরেন, ভাই এত তাড়াতাড়ি কেন বিয়ে করছো? জবাবে তাসকিন বলেন, ভাই আমি আমার বান্ধবীকে খুব ভালোবাসি। এবং ঘরে বউ থাকলে যত মেয়েই আমাকে নক করুক, আমি ভুল কিছু করতে গেলে নিজেকে দোষী মনে হবে, আমি নিজেকে বিরত রাখতে পারবো। আমার থেকে বাংলাদেশ অনেক কিছু আশা করে। লাইফের ছোট ক্যারিয়ারে নিজেকে সামলে না নিলে ভুল পথে যেতে পারি। সালমান: বাংলাদেশকে ধন্যবাদ। যাকে নিয়ে ছেলেটা এত সচেতন, সেই দেশের মানুষ তার মনটা খারাপ করে দিল। আপনাদের জন্য ছেলেটা শখের চুলের রঙটা পর্যন্ত পরিবর্তন করলো, এবার বউটাও মনে হয় পরিবর্তন করতে হবে।’

জানা গেছে, তাসকিনের জীবনসঙ্গী সৈয়দা রাবেয়া নাঈমার সঙ্গে দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় মন দেয়া-নেয়ার পর্ব শেষ হয়। এরপর কেটে গেছে দীর্ঘ সাত বছর। পাশাপাশি এলাকায় থাকা, একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা সবকিছুই চলছিল সবার আড়ালে। বিষয়টি দুই পরিবারে মধ্যে জানাজানি হলে এক বছর আগেই পারিবারিকভাবে তাদের আংটি বদল হয়। এরপর থেকেই বিয়ের প্রস্তুতির জন্য তৈরি হচ্ছিল দু’পরিবার। তবে যে এতো চটজলদি বিয়েটা হয়ে যাবে তা নিজেও বুঝে উঠতে পারেনি মন্তব্য করে ২২ বছর বয়সী এ পেসার বলেন, ‘খেলায় আরো ফোকাস বাড়ানোর জন্য, জীবনটাকে সুন্দর করে গুছিয়ে নেয়ার জন্য বিয়েটা করে ফেলেছি। আর সবচেয়ে বড় কথা আল্লাহর হুমুক হয়েছে সেজন্যই হয়ে গেছে।’ দেশবাসীকে বলবো আমাদের জন্য দোয়া করবেন। এবং আগের মতো যেন খেলার মাঠে ফিরে আসতে পারি সেজন্যও দোয়া করবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১০২৫ ঘণ্টা, ০২  নভেম্বর  ২০১৭

লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/কেএসপি

Scroll to Top