বগুড়ার ধুনট উপজেলায় পিতলের নকল মূর্তিসহ জিনের বাদশা পরিচয়দানকারী প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে আটকের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ দুপুরে আটককৃতদের ওই ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ধুনট উপজেলার সোনাহাটা বাজার এলাকায় স্থানীয়রা তাদের আটক করে পুলিশ সোপর্দ করে। আটককৃতরা হলেন-নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার বানিয়াজান গ্রামের আব্দুল আওয়াল খানের ছেলে রফিকুল ইসলাম রিপন (৩৫) ও চট্রগ্রাম জেলার সাতকানিয়া উপজেলার খাকরিয়া গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে শামছুল ইসলাম (৪৫)।
ধুনট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) খোকন কুমার কুন্ডুু জানান, প্রতারক চক্রের সদস্য রফিকুল ও শামছুল নিজেদের জিনের বাদশা পরিচয় দিয়ে সহজ-সরল অনেক মানুষের ক্ষতি করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
জানা যায়, উপজেলার সোনাহাটা বাজার এলাকার শাহাদত হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে পরিচয় হয় রফিকুল ইসলাম রিপনের। প্রায় একসপ্তাহ ধরে মোবাইল ফোনে আলাপচারিতায় রফিকুল নিজেকে জিনের বাদশা পরিচয় দেয়। শাহাদতের ওপর জিনের বাদশার সুদৃষ্টি পড়েছে বলে জানায় রফিকুল। কথিত জিনের বাদশা রফিকুল নিজে থেকে শাহাদতের সঙ্গে দেখা করতে চায়। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে রফিকুল ও তার সহযোগী শামছুল শাহাদতের বাড়িতে আসে।
তারা পিতলের তৈরি একটি নকল মূর্তিকে সোনার মূর্তি বলে শাহাদতের নিকট ২ লাখ টাকা দাবি করে। এই মূর্তির ভেতর জিনের বাদশার আত্মা রয়েছে। বাড়িতে এই মূর্তি থাকলে অনেক অর্থ সম্পদের মালিক হওয়া সম্ভব বলে দাবি করে তারা। তাদের এসব কথাবার্তা শোনার পর শাহাদতের সন্দেহ হয়। পরে কৌশলে তাদের আটক করে শাহাদত থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় শাহাদত হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, ১ নভেম্বর, ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/পিকে