এবার প্রতিদিন ৩০০ জন করে রোহিঙ্গা ফেরত নেওয়ার কথা জানিয়েছে মিয়ানমার। সেভাবে রোহিঙ্গা ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া এখনই শুরু করলেও বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া সব রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে সময় লেগে যাবে অন্তত ১২ বছর।
১৯৯৩ সালের চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিন ৩শ’ রোহিঙ্গাকে ফেরত নেবে বলে জানিয়েছে মিয়ানমার সরকার।
দু’ দেশের প্রত্যাবাসন চুক্তির যৌথ ঘোষণার চারটি প্রধান নীতি অনুযায়ী যাচাইয়ের পর মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে প্রমাণপত্র নিশ্চিত করে রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির শ্রম, অভিবাসন ও জনসংখ্যা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সচিব ইউ মুইন্ট কিয়াইং।
তিনি বলেন, ১শ’৫০ জন করে দুটি তল্লাশি চৌকি দিয়ে যাচাই-বাছাই করে রোহিঙ্গাদের মংডু শহরের দার গিই জার গ্রামে পুনর্বাসিত করা হবে। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে সমঝোতা সইয়ের বিষয় নিয়ে দু’দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে বলে জানান ইউ মুইন্ট কিয়াইং।
গত ২৫ আগস্ট থেকে জাতিগত নিধনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আসতে শুরু করে রোহিঙ্গারা। আইওএমের ২৮ অক্টোবরের হিসাব অনুযায়ী এ পর্যন্ত বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে ৮ লাখ ১৭ হাজার রোহিঙ্গা।
এছাড়া আগে থেকেই বাংলাদেশে আরো কয়েক লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করছে। ২০১৬ সালের হিসাব অনুযায়ী প্রায় ৫ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে বসবাস করছিল। সে হিসাবে বাংলাদেশে মোট রোহিঙ্গার সংখ্যা ১৩ লাখ ১৭ হাজার।
সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সূত্রমতে, ষাটের দশকের পর থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত লাখ লাখ রোহিঙ্গা বিভিন্ন সময় বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে। জলপথের পাশাপাশি স্থলপথেও তারা বাংলাদেশে আসে।
মিয়ানমার ১৯৯৩ সালের চুক্তি অনুযায়িই রোহিঙ্গাদের ফেরত নেবে নাকি নতুন কোন চুক্তি হবে সে বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মিয়ানমার সফরে সিদ্ধান্ত হতে পারে।
বাংলাদেশ সময় : ১৪০২ ঘণ্টা, ৩১ অক্টোবর, ২০১৭,
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/ডিএ