‘এর আগেও অনেকবার এইরম ঝামেলায় পড়ছি। অল্পের লাইগ্যা একসিডেন্ট অয়নাই। লাগলে হ্যারা ছিটকা পড়তো। হ্যারা পার্ক থুইয়া ফ্লাইওভারে প্রেম করে। ’এভাবেই নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করলেন যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভার দিয়ে নিয়মিত যাতায়াতকারী এক সিএনজি চালক।
তিনি যে বিষয়টির কথা বললেন, সেই চিত্রটি প্রায়ই দেখা যাচ্ছে সায়দাবাদ থেকে ধোলাইরপাড়গামী ফ্লাইওভারের টার্নিং পয়েন্টে। সায়দাবাদ থেকে দু’টি রাস্তা ফ্লাইওভারে বহমান। বাম দিকের রাস্তাটি অনেক উঁচুতে টার্নিং নিয়ে ধোলাইপাড় বা পোস্তগোলার দিকে চলে গেছে। আর ডান দিকেরটি সোজা চলে গেছে শনিরআখড়া হয়ে চিটাগাং রোডে। ফ্লাইওভারের উল্লেখিত টার্নিং পয়েন্টে প্রায়ই দেখা যায় মোটরসাইকেল থামিয়ে যুবক-যুবতীরা বসে থাকেন। অথচ সেখানে ফুটপাত তো দূরের কথা হাঁটা-চলার জন্য কোনো স্পেসও নেই।
টার্নিং হওয়ায় জায়গাটিও খুব বিপজ্জনক। এরকম জায়গায় সন্ধ্যার পর মোটরসাইকেল থামিয়ে গল্প করার চিত্রটা একটু বেশিই পরিলক্ষিত হয়। এর ফলে চালকরাও কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন।
ডান দিকে টার্নিং নেয়ার সময় হঠাৎ দেখতে পান পার্কিং করা মোটরসাইকেল এবং আড্ডারত যুগল। এতে কিছুটা হলেও গাড়ির গতি কমাতে বাধ্য হন তারা। আর এ পরিস্থিতি যে কোনো সময় ভয়াবহ দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন অনেক যাত্রী। কেউ কেউ বলছেন, ফ্লাইওভারের নিরাপত্তা রক্ষীদের দায়িত্ব এ বিষয়টি দেখভাল করা।
জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দু’জন নিরাপত্তারক্ষী বলেন, দিনের বেলায় তাও খেয়াল করা যায়। কিন্তু সন্ধ্যার পর এরকম জায়গায় কিভাবে সম্ভব। এর আগেও অভিযোগ পেয়েছি। বেশ কয়েকবার পদক্ষেপও নিয়েছি। তা সত্ত্বেও গল্প করার জন্য এ জায়গাতেই গাড়ি থামান তারা।
রোববার সন্ধ্যায় এরকম এক যুগলের সঙ্গে দেখা। অগত্যা গাড়ি থামিয়ে জানতে চাইলাম, এত জায়গা থাকতে গল্প করতে এই জায়গা কেন? প্রশ্ন শুনে দু’জনেই খুব বিব্রত হলেন। শেষ পর্যন্ত উত্তর না দিয়ে মোটরসাইকেল টেনে চলে গেলেন। খবর বাংলাদেশ প্রতিদিন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, ৩০ অক্টোবর ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এস পি