শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ১২ জন আসামির ১১ জনকে ২০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অন্যজনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের বিশেষ এজলাসে রায় ঘোষণা করেন বিচারক।
১৯৮৯ সালের ১০ আগস্ট মধ্যরাতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে গুলি ও বোমা হামলা হয়। সেসময় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা সেই বাসাতে থাকতেন। বাসার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবল জহিরুল ইসলাম এ নিয়ে মামলা করেন।
পরে ১৯৯৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ঘটনার তদন্ত শেষ করে হত্যা চেষ্টা ও বিস্ফোরক আইনে দু’টি অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। এতে আসামি করা হয় মোট ১২ জনকে। এর মধ্যে চারজন গ্রেফতার আছে, চার জন জামিনে, বাকিরা পলাতক।
মামলার নথিপত্র থেকে জানা গেছে, ১৯৮৯ সালের ১০ আগস্ট মধ্যরাতে ফ্রিডম পার্টির নেতৃত্বে শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাসভবনে গুলি ও গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়। তিনি তখন ওই বাড়িতেই থাকতেন। ঘটনার সময় তিনি ওই বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন। ওই ঘটনায় বাড়ির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবল জহিরুল ইসলাম একটি মামলা করেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ফ্রিডম পার্টির সদস্য কাজল ও কবিরের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি দল ৩২ নম্বরের বাড়িতে অতর্কিতে গুলিবর্ষণ ও বোমা হামলা করেন। হামলাকারীরা ‘কর্নেল ফারুক-রশীদ জিন্দাবাদ’ বলে স্লোগান দিতে দিতে পালিয়ে যায়। ১৯৯৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ওই মামলায় ১২ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ২০০৯ সালের ৫ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
এ মামলার আসামিরা হলেন গোলাম সারোয়ার ওরফে মামুন, জজ মিয়া, ফ্রিডম সোহেল, সৈয়দ নাজমুল মাকসুদ মুরাদ, গাজী ইমাম হোসেন, খন্দকার আমিরুল ইসলাম কাজল, মিজানুর রহমান, হোমায়েন কবির, মো. শাজাহান বালু, লে. কর্নেল আবদুর রশীদ, জাফর আহম্মদ ও এইচ কবির।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৫ ঘণ্টা, ২৯ অক্টোবর ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এস পি