কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যাবার পথে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ২৮ অক্টোবর শনিবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে রাত্রি যাপন করেছেন। এ সময় শনিবার রাতে ও ২৯ অক্টোবর রোববার সকালের নাস্তা চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসেই খেয়েছেন খালেদা জিয়া। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর রাতের খাবারের তালিকায় জাউভাতের সঙ্গে দেশি মুরগির ঝোলসহ কমপক্ষে ২০ পদের তরকারি ছিল। আর খাবারের পরের আয়োজনে ছিল টকদই ও ১০ পদের ফলমূল। এছাড়া রোববার সকালের নাস্তায়ও ছিল দেশি মুরগির স্যুপ, সবজি ও রুটি।
জানা গেছে, আগে থেকেই অর্ডার দিয়ে রাখা চাঁদপুরের ইলিশ মাছ নগরীর ফিশারি ঘাট থেকে কেনা হয়েছে শনিবার সকালে। সঙ্গে থাকছে চিংড়ি, রূপচাঁদা, পাবদা, বাটা, কোরাল, সিমবিচি দিয়ে দেশি মাগুর মাছ।
চিনিগুঁড়া চালের সাদা ভাতের সঙ্গে ঘন ডাল, চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবানি মাংস, কালো ভুনা, দেশি মুরগির ঝাল ফ্রাই রান্না করা হয়েছে। এছাড়া শুঁটকি, বেগুন, সিম, আলু ও সজনা পাতার ভর্তা থাকছে রাতের খাবারে।
তবে চিনিগুঁড়া চালের জাউ ভাতের সঙ্গে ৫০০ গ্রাম ওজনের দেশি মুরগির মাংস, সবজি ও ডাল দিয়েই বেগম খালেদা জিয়া রাতের খাবার খেয়েছেন বলে জানিয়েছে একাধিক সূত্র।
অন্যদিকে, ফলমূলের মধ্যে ছিল ড্রাগন ফল, আঙুর, আম, দেশি পেপে, তরমুজ। খাবার তৈরির কাজে নিয়োজিত একজন বিএনপি নেতা জানান, দলের চেয়ারপারসনসহ ৩০ জনের খাবার তৈরি করা হয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বাসায়। এজন্য খালেদা জিয়ার বাসার দুজন বাবুর্চি শনিবার সকালে চট্টগ্রাম পৌঁছান।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৫ঘণ্টা, ২৯ অক্টোবর ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/কেএসপি