পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১৬ অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনে। এসব হাটের পাশাপাশি উত্তর সিটি করপোরেশনের ডিজিটাল পশুর হাটও চালু থাকবে।
রাজধানীতে স্থায়ী দুটি পশুর হাট রয়েছে। এর মধ্যে দেশের সবচেয়ে বড় হাট গাবতলী। এখানে সারাবছর পশু বিক্রির পাশাপাশি কুরবানির ঈদের আগে সবচেয়ে বেশি গরু-ছাগলের সমাহার ঘটে। এ ছাড়া সারুলিয়াতে আরেকটি স্থায়ী ছোট পশুহাট রয়েছে। এর বাইরে কোরবানির পশুর চাহিদার কথা বিবেচনায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন প্রতি বছর রাজধানীতে বেশকিছু অস্থায়ী পশুর হাট স্থাপন করে থাকে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এ জন্য গত ২৭ এপ্রিল ৮টি হাটের জন্য দরপত্র বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। একইভাবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) গত ২ মে এক বিজ্ঞপ্তিতে ৮টি অস্থায়ী হাটের দরপত্র আহ্বান করেছে।
দক্ষিণ সিটির হাটের মধ্যে রয়েছে, মেরাদিয়া বাজারসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, দনিয়া কলেজ মাঠ সংলগ্ন খালি জায়গা, ধোলাইখাল ট্রাক টার্মিনালসংলগ্ন উন্মুক্ত জায়গা, হাজারীবাগ এলাকায় ইনস্টিটিউট অব লেদার টেকনোলজি মাঠ সংলগ্ন উন্মুক্ত এলাকা, আমুলিয়া মডেল টাউনের আশপাশের খালি জায়গা, লালবাগের রহমতগঞ্জ ক্লাব সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, লিটল ফ্রেন্ডস ক্লাবসংলগ্ন খালি জায়গা, কমলাপুর স্টেডিয়াম সংলগ্ন বিশ্বরোডের আশপাশের এলাকা এবং পোস্তগোলা শ্মশানঘাট সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা।
উত্তর সিটির অস্থায়ী হাটের মধ্যে রয়েছে, ভাটারা (সাইদ নগর) সংলগ্ন খালি জায়গা, উত্তরা দিয়াবাড়ী ১৬ ও ১৮ নম্বর সেক্টর বউবাজার এলাকার খালি জায়গা, বাড্ডা ইস্টার্ন হাউজিং আফতাব নগর ব্লক ‘বি’ হতে ‘এইচ’ পর্যন্ত খালি জায়গা, মিরপুর সেকশন ৬, ওয়ার্ড ৬’র খালি জায়গা, মোহাম্মদপুর বছিলার ৪০ ফুট রাস্তাসংলগ্ন খালি জায়গা, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট খেলার মাঠের খালি জায়গা, কাওলা শিয়ালডাঙ্গা সংলগ্ন খালি জায়গা এবং ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত কাঁচকুড়া বেপারিপাড়ার রহমান নগর আবাসিক প্রকল্পের খালি জায়গা।
জানা গেছে, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে আগামী ২৩ মে প্রথম দফা দরপত্র বাক্স খোলা হবে। এরপর দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি দর বিবেচনায় সর্বোচ্চ দরদাতাকে হাটের ইজারা প্রধান করবে। তবে কাক্সিক্ষত দর না উঠলে পরে নতুন করে দরপত্র আহ্বান করবে ডিএসসিসি। একইভাবে আগামী ১৬ মে প্রথম দফা দরপত্র বাক্স খুলবে ডিএনসিসি। হাটের কাক্সিক্ষত দর ওঠা সাপেক্ষে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে ডিএনসিসি।
অস্থায়ী ১৬টি পশুর হাট ইজারার মাধ্যমে দুই সিটি করপোরেশন ২২ কোটি টাকা আয়ের প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন প্রায় ১৫ কোটি টাকা এবং উত্তর সিটি করপোরেশন আয় করবে প্রায় সাত কোটি টাকা।