বিনোদন প্রতিবেদকঃ সুভাষ দত্তের \’সোহাগ মিলান\’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে ঢাকাই চলচ্চিত্রে আশির দশকের শুরুতে ঢাকাই চলচ্চিত্রে আগমন রিনা খান। এর পর একে একে অভিনয় করে গেছেন ৬০০ চলচ্চিত্রে। বাংলা চলচ্চিত্রের খলনায়িকা হিসেবে পরিচিত হলেও অভিনয় করেছেন নায়িকা হিসেবেও। বাস্তব জীবনে চলার পথে সবারই কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়। তার ব্যতিক্রম ছিলেন না রিনা খানও। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন।
খল চরিত্রে অভিনয় করে খারাপ অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে রিনা খান বলেন, অনেক খারাপ অভিজ্ঞতাই আছে। মাঝেমধ্যে তো অভিনয় ছেড়ে দিতে চাইতাম। রিনা নামটা কিন্তু সুন্দর। কিন্তু রিনা খান নামটা মানুষ তাদের বাচ্চাদের রেখে দেওয়াই বাদ দিল। এটা তো বিব্রতকর। একবার উত্তরায় গাড়িতে বসে অপেক্ষা করছি। তখন একটি বেদের দল এসে বলল, ‘এই, এই টাকা দে, পোলাডার ক্ষিধা লাগছে।’ তখন আমার ব্যাগে খুচরো টাকা খুঁজছি কিন্তু খুচরা টাকা ছিল না। আমার ছোট বোন আমার সঙ্গে ছিল, ওকে বললাম তোর কাছ থেকে থাকলে দিয়ে দে। পরে ও খুঁজে দেখল ওর কাছে মাত্র দশ টাকা আছে। টাকা দেওয়া মাত্র বলল, ‘দেখ দেখ বেডি ছবিতে যেমন খারাপ বাস্তবেও তেমন খারাপ। বুঝো অবস্থা! আমি তো থ হয়ে গেলাম।’ অনেক সময় মার্কেটে গেলে বাচ্চারা বলে দেখ ওই শয়তান মহিলা। এটা আমার প্রাপ্তিও আবার খারাপ লাগাও। সারাজীবন মানুষের মনে খারাপ একজন মানুষ হয়ে রইলাম।
বর্তমান সময় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সিনেমায় নেই, সেটার জন্য মন খারাপ হতে পারে। কিন্তু পরিবার নিয়ে বেশ ভালো আছি। পরিবারকেই বেশি সময় দেই। স্বামীর বিজনেসের সঙ্গেও সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। মাঝে মাঝে আমিও দেখাশোনা করি। বছরের ৬ মাস দেশের বাইরেই কাটে। বড় ছেলে আসিফ হোসেন শান্ত ও ছোট ছেলে শিহাব হোসেন অন্তু দুজনেই প্রকৌশলী। দুজনই থাকেন জার্মানিতে। বড় ছেলের স্ত্রী থাকেন সেখানে। ছোট ছেলের স্ত্রী আমার সঙ্গে থাকেন। বছরের কমপক্ষে ৩ মাস ছেলেদের সঙ্গে থাকি। আর তিনমাস যুক্তরাষ্ট্রে। ওখানে আমার অনেক নিকটাত্নীয় থাকে। ছোট ছেলের স্ত্রী উত্তরায় একটা বেসরকারি ইউনিভার্সিটিতে পড়ে। ও আমার মেয়ের মতো আমার সঙ্গে থাকে। এছাড়া বাসার ছাদে ফুলের বাগান করেছি, সেটা দেখাশুনা করি। সেটাও আমার জন্য বেশ মজাদার।
বাংলাদেশ সময়:১০০০ ঘণ্টা, ২৯ অক্টোবর ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এস পি