ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবির মুখে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘আমি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় একটি কথা বলতে চাই, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিল হবে না।’
তবে আইনমন্ত্রী এবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংস্কারের ব্যাপারে একটি সুনির্দিষ্ট সময় দিয়েছেন। তিনি বলেন, আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে আইনটি সংশোধন করার চেষ্টা করা হবে। তবে কোনোভাবেই আইনটি বাতিল করা হবে না। এই আইনের সমস্যা দূর করে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করতে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর জন্য একটি কমিটি করা হয়েছে।
বুধবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে মাইডাস সেন্টারে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে অপব্যবহার হয়েছে স্বীকার করে আইনমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রয়োগের শুরুর দিকে ‘মিসইউজ’ ও ‘অ্যাবিউজ’ হয়েছে, এটি সরকার স্বীকার করে। সরকার উদ্যোগ নেওয়ায় এর অপপ্রয়োগ আগের থেকে হ্রাস পেয়েছে। এর অপপ্রয়োগ আরও কমাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পরিশুদ্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সবার জন্য গ্রহণযোগ্য আইন করা হবে।
তিনি বলেন, ‘মিস ইউজ ও অ্যাবিউজের কথা যখন বলা হচ্ছিল তখন আমি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী; এই প্রথা এখনো আমরা চালিয়ে যাচ্ছি, এখন ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে মামলা হলেই যে মামলা গ্রহণ করা হয়- তা না। এখন এটাকে একটা সেলে পাঠানো হয়। এই সেলটা আইসিটি অ্যাক্টের মধ্যে একটা সেল ছিল, সেই সেলটাকে এখন কার্যকর করে এসব অভিযোগ প্রথমে আমরা ওখানে পাঠাই। এটা যদি ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে আমলযোগ্য হয় তখনই এটাকে এফআইআর হিসেবে বা কোর্টে মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়।’
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘নির্দেশনা দেওয়া আছে, মামলা হতে পারে এ রকম কিছু প্রতিষ্ঠিত না করা পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।’
এ সময় আইনমন্ত্রী প্রেস কাউন্সিল আইন পাশ করা হবে জানিয়ে বলেন, ‘সব অংশীজনের সঙ্গে কথা বলাটা আমি মনে করি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। আমি এটা কথা বলে যাব। আমার মনে হয়, যে আইন, বিশেষ করে প্রেস কাউন্সিল আইন; আমি যতদূর শুনেছি তথ্য মন্ত্রণালয় অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করেছে। সেখানে সংবাদ মাধ্যমের কিছু বক্তব্য বোধ হয় এখনো রয়ে গেছে, আমি মনে করি সেটা নিয়েও আলাপ-আলোচনা করা হবে। ’
‘সেটা এই পর্যায়ে না হলেও সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে যেটা আগেও হয়েছে, সেভাবে আলোচনা করা হবে। আলোচনার দার সব সময় উন্মুক্ত। আমরা আলোচনা করেই এই আইন পাশ করব। আমরা আলোচনা না করে, কাউকে ব্রাশ এ সাইড করে এই আইন পাশ করব না।’