যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি দুর্বল হয়েছে। দেশটির ব্যাংকিং খাতে নতুন করে দেখা দিয়েছে অস্থিরতা। এতে কঠোর মুদ্রানীতি থেকে ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড) সরে আসছে। ফলে বিশ্বজুড়ে ধস নেমেছে শেয়ারবাজারে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এতে বলা হয়, সরকারি ছুটির কারণে চীন ও জাপানে পুঁজিবাজার বন্ধ ছিল। তবে খোলা ছিল হংকংয়ের। তবু লেনদেন কম হয়েছে।
জাপানের বাইরে এশিয়া-প্যাসিফিকের এমএসসিআইয়ের বৃহৎ সূচক কমেছে শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ। রাতারাতি আঞ্চলিক ব্যাংকের শেয়ার মূল্য হ্রাস পেয়েছে। এসঅ্যান্ডপি ৫০০ পড়েছে ১ দশমিক ২ শতাংশ।
প্যাকওয়েস্ট ব্যানকর্পের শেয়ার দরে পতন ঘটেছে ২৭ দশমিক ৮ শতাংশ, ওয়েস্টার্ন অ্যালিয়ান্স ব্যানকর্পের কমেছে ১৫ দশমিক ১ শতাংশ এবং কোমেরিকা ইনকরপোরেশনের পড়েছে ১২ দশমিক ৪ শতাংশ।
মার্কিন শ্রমবাজারে দুর্বলতার চিহ্ন দেখা গেছে। বিশ্বজুড়ে ব্যাংকিং খাতে সংকট দেখা দিতে পারে। তাতে জ্বালানি তেলের দর ৫ শতাংশেরও বেশি নিম্নমুখী হয়েছে।
চলতি বেঠকে ২৫ বেসিস পয়েন্ট সুদের হার বাড়াতে পারে ফেড। এরপরই তাতে লাগাম টানতে পারে তারা। এ প্রেক্ষাপটে বন্ডের দর বৃদ্ধি পেয়েছে। মার্কিন মুদ্রা ডলারের দরপতন ঘটেছে। সেই সঙ্গে ট্রেজারি ইল্ড নিম্নগামী হয়েছে।
ইতোমধ্যে স্বর্ণের মূল্য ২ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। প্রতি আউন্সের দাম স্থির হয়েছে প্রায় ২০০০ ডলারে। গত ৩ সপ্তাহের মধ্যে যা সর্বোচ্চ।
গত মার্চে হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক এবং সিগনেচার ব্যাংক। সেসময় আশঙ্কা করা হয়েছিল আরও কয়েকটি ব্যাংকে ধস নামতে পারে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলো ফার্স্ট রিপাবলিক।
এছাড়া সুইজারল্যান্ডের ক্রেডিট সুইস লোকসানের মুখে পড়ে। ফলে আমেরিকার মতো ইউরোপের ব্যাংক খাতেও মন্দার শঙ্কা বিরাজ করছে।
সংবাদ সূত্রঃ রয়টার্স