শিবপুর উপজেলার খনকুট গ্রামে আজিজা খাতুন নামের এক কিশোরীকে মোবাইল চুরির অভিযোগ পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার চাচির বিরুদ্ধে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে।
মৃত আজিজার বাবা আবদুস সাত্তার বলেন, মৃত্যুর আগে আমার মেয়ে বলে গেছে, বাবা গো আমি মরে যাবো, আমি মোবাইল চুরি করিনি, চাচির ভাইয়েরা আমাকে তুলে নিয়ে গায়ে আগুন দিয়েছে। আমার মেয়ে জীবন দিয়ে প্রমাণ করে গেল সে মোবাইল চুরি করেনি।
তিনি আরও জানান, কিছুদিন আগে আজিজার চাচি বিউটির একটি মোবাইল ফোন হারিয়ে যায়। এরপর থেকে আজিজাকে সন্দেহ করেন তিনি এবং বাড়িতে এসে তাকে আগুনে পুড়িয়ে মারার হুমকি দেন।
তিনি বলেন, ঘটনার সময় আমি ও আমার স্ত্রী রেহানা বেগম বাড়িতে ছিলাম না। আমার মেয়ে মৃত্যুর আগে বলে গেছে বিউটি চাচির দেখানো লোকজন আমাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আমার গায়ে আগুন দিয়েছে।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া জানান, ‘নিহতের চাচি ও স্বজনরা কিশোরী আজিজার গায়ে আগুন দিয়েছে বলে আমাদের কাছে অভিযোগ করেছেন। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।’
শিবপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক মজিবুর রহমান জানায়, ঘটনার পর পালিয়েছে অভিযুক্ত চাচি বিউটি বেগম ও তার স্বজনরা। বাড়িতে গিয়ে তাদের কাউকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। দ্রুত ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, ২৮ অক্টোবর ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/কেএসপি