স্পেন থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের ঘোষণা দেওয়ার পরপরই কাতালোনিয়াতে কেন্দ্রীয় শাসন জারি করেছে স্পেন সরকার। এরই মধ্যে কাতালোনিয়ার স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্র। স্পেনের সার্বভৌমত্বের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছে জার্মানি। আর স্পেনের প্রধানমন্ত্রী মারিয়ানা রাহয়ের সিদ্ধান্তে সমর্থন জানিয়েছে ফ্রান্স। খবর বিসিসি।
স্পেনের অখণ্ডতা ও সংবিধান সমুন্নত থাকুক এমনটাই প্রত্যাশা করছে ব্রিটেন। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে\’র এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, যে গণভোটের উপর ভিত্তি করে কতালোনিয়া স্বাধীনতা ঘোষণা করেছে সেই গণভোট অবৈধ।
অপরদিকে, যুক্তরাষ্ট্রও কাতালোনিয়ার স্বাধীনতার বিরোধীতা করে জানায়, কাতালোনিয়া স্পেনের অখণ্ড অংশ। যদিও কাতালোনিয়ার স্বাধীনতার পক্ষে বড় কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের সমর্থন নেই, তা সত্ত্বেও দাবির পক্ষে অনড় রয়েছে কাতালোনিয়াবাসী।
কাতালোনিয়া স্বাধীনতা ঘোষণা দেওয়ার সঙ্গে-সঙ্গে স্পেন সরকার তক্ষণাৎ সিদ্ধান্ত নিয়ে কেন্দ্রের শাসন জারি করে কাতালোনিয়ার আঞ্চলিক পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়েছে। বরখাস্ত করা হয়েছে কাতালোনিয়ার নেতা কার্লোস পুজডেমন এবং তার আঞ্চলিক পার্লামেন্ট সদস্যদের। কাতালান আঞ্চলিক পুলিশ প্রধানকেও পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ।
কাতালোনিয়ার স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ জরুরি বলে মনে করছেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী মারিয়ানা রাহয়। ফলে তার সরকার কাতালোনিয়াতে কেন্দ্রের শাসন জারি করেছে বলে মনে করছেন তিনি।
এর আগে গত ১ অক্টোবর কেন্দ্রের বাধা উপেক্ষা করে স্বাধীনতার পক্ষে গণভোটের আয়োজন করে কাতালোনিয়া। এতে ৯০ শতাংশ ভোটার কাতালোনিয়ার স্বাধীনতার পক্ষে রায় দেন। গণভোটের ফল মেনে গত ১০ অক্টোবরই স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে সই করেন অাঞ্চলিক নেতারা। কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে তা কার্যকর না করে আলোচনার প্রস্তাব দেন কাতালান প্রেসিডেন্ট কার্লোস পুজডেমন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, ২৮ অক্টোবর ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এস