যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপিজুড়ে টর্নেডোর আঘাতে নিহত হয়েছে কমপক্ষে ২৪ জন। আহত হয়েছে অনেকে। শতাধিক লোক আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে। ঝড়ের গতি ছিল ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার। ঘরবাড়ি, গাছপালা, স্থাপনা লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। গতকাল শনিবার রাজ্যের কর্মকর্তারা এই তথ্য জানিয়েছেন।
খবরে বলা হচ্ছে, ঝড়ের পর চারজন লোক নিখোঁজ হয়েছে। টর্নেডো সিলভার সিটিতে আঘাত করে। এটি পশ্চিম মিসিসিপির একটি শহর। পাশাপাশি রোলিং ফর্ক শহরেও ঝড় আঘাত হানে। আরও দুটি রাজ্যে ক্ষতি হয়েছে।
মিসিসিপির গভর্নর টেট রিভস টুইটারে লিখেছেন, গত রাতের মারাত্মক টর্নেডোতে কমপক্ষে ২৩ জন নিহত হয়েছে ও অনেকে আহত হয়েছে। তল্লাশি ও উদ্ধারকারী দল তৎপর রয়েছে। শহরগুলোর এই ক্ষতি আজীবন থেকে যাবে। তবে সিএনএন ২৪ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
রিভস ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বিডেন মিসিসিপির ছবিগুলোকে হৃদয়বিদারক হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, মিসিসিপি প্রশাসন ফেডারেল সরকারের সম্পূর্ণ সমর্থন পাবে। যতক্ষণ সহায়তা লাগবে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য জরুরি কর্মীরা কাজ করবে।
ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি (ফেমা) ডিরেক্টর ডিন ক্রিসওয়েল সিএনএনকে বলেন, আজ রোববার তিনি মিসিসিপিতে ভ্রমণ করবেন। তিনি মিসিসিপিকে দীর্ঘমেয়াদে ফেডারেল সহায়তা দ্রুত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আমেরিকান রেড ক্রস আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করেছে বলেও তিনি জানান।
সিলভার সিটি এবং রোলিং ফর্কে জীবিতদের সন্ধানে অনুসন্ধান চালাচ্ছে উদ্ধারকারী দলগুলো। রোলিং ফর্ক মেয়র এলড্রিজ ওয়াকার বলেন, তার শহর ধ্বংস্তূপে পরিণত হয়েছে। তবে শিগগির পরিস্থিতি সামলে নেবেন। বেশ কয়েকজন নিজ বাড়িতে চাপা পড়েছে। তাদের উদ্ধারে কাজ করছে কর্মীরা।
তিনি বলেন, নিহতদের মধ্যে ১২ জন রোলিং ফর্কে ছিলেন। টেলিভিশনের ছবিতে উপড়ে পড়া গাছ, বাড়িঘর ভেঙ্গে যাওয়া এবং ক্ষতিগ্রস্ত মোটরযান দেখা গেছে। অনেক এলাকা বিদ্যুৎবিহীন ছিল। হামফ্রেস কাউন্টি শেরিফ ব্রুস উইলিয়ামস বলেন, তার শহরটি বোমায় আঘাত করার মতো ধ্বংস হয়ে গেছে। তিনজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি।
সংবাদ সূত্রঃ সিএনএন, দ্য ডন